প্রতীকী ছবি
কোথাও পুকুরের বালি মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাস্তার কাজে। কোথাও আবার সিমেন্টের বস্তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের কারও কাছে। সাবেক ছিটমহলের রাস্তা তৈরির কাজে এমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। পোয়াতুরকুঠি, করলা থেকে শুরু করে শীতলখুচির নলগ্রাম, ফলনাপুর-সহ একাধিক সাবেক ছিটমহলে এমনই কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ।
মেখলিগঞ্জে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের জমি কেনায় প্রায় এক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তার পরেই রাস্তার কাজ নিয়ে অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। অভিযোগ, নিম্নমানের জিনিসপত্র ব্যবহার শুধু নয়, রাস্তার মাপেও কারচুপি করা হয়েছে। টেন্ডার কপির সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেই তা সামনে আসবে।
কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে সব খতিয়ে দেখা হবে।” দিনহাটার বিধায়ক তথা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উদয়ন গুহ জানান, ওই কাজ পূর্ত দফতরের তরফে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “কোথাও যদি নিম্নমানের কাজের অভিযোগ থাকে তা হলে বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানাতে পারেন।”
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “সাবেক ছিটমহলের কাজে বহু জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন। সেই অভিযোগ আমরা জেলাশাসকের কাছে পৌঁছে দেব।” আজ, সোমবার জেলাশাসককে অভিযোগ জানাতে পারে বিজেপি। ওই দলের নেতা তথা ছিটমহল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “বাসিন্দাদের চোখের সামনেই নিম্ন মানের কাজ হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। রাস্তার কাজে কয়েক জায়গায় দুর্নীতির মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, সাবেক ছিটমহলে উন্নয়নের কাজে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করে। ইতিমধ্যেই রাস্তা তৈরি, বিদ্যুৎ-সহ নানা পরিষেবা, স্কুল, হাসপাতাল তৈরির জন্য কয়েকশো কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
স্থায়ী পুনর্বাসন তৈরির জন্যও টাকা বরাদ্দ হয়। সেই টাকার কাজেই দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত এক ঠিকাদার অবশ্য দাবি করেন, এমন অভিযোগ ঠিক নয়।