সাগরদিঘির পাড় কিংবা রাজবাড়ির সামনে রাস্তায় কোণে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে সুখটানের দিন ফুরোচ্ছে কোচবিহারে। সব ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাস থেকেই জেলায় প্রকাশ্যে ধূমপান করতে হাতেনাতে ধরা পড়লে গুনতে হবে আর্থিক জরিমানা। জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে ওই তৎপরতা শুরু হয়েছে কোচবিহারে।
আজ, বৃহস্পতিবার ওই ব্যাপারে ডিস্ট্রিস্ট লেবেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই জনবহুল এলাকায় ধূমপান বন্ধের ব্যাপারে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। ১ জুলাই মাস থেকেই নিষেধাজ্ঞা লাগু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কমিটির কো-চেয়ারম্যান তথা কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রকারি নির্দেশিকা মেনেই এই উদ্যোগ। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ওই ব্যাপারে বিশদে আলোচনা করা হবে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিগারেট ও অন্য তামাকজাত সামগ্রী প্রতিরোধক আইন অনুযায়ী জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ একাধিক জেলায় ইতিমধ্যে ওই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বার ওই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে কোচবিহার। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, সরকারি নির্দেশ মেনে ওই প্রবণতা বন্ধে জেলাস্তরের সমন্বয় কমিটিতে তৈরি হয়েছে। ওই কমিটি পুলিশ, প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারা ছাড়াও একাধিক দফতরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দফতর চত্বরে আয়োজিত বৈঠকে তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ওই বৈঠক থেকেই অন্তত ২ জন প্রতিনিধি নিয়ে করে নজরদারি চালানোর বেশ কয়েকটি দলও তৈরি করা হবে। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ওই ব্যাপারে নিয়মিত অভিযানও চালাবেন।
ব্লক ও পুর স্তরেও একই রকম কো-অর্ডিনেশন কমিটি কাজ করবে। প্রকাশ্যে ধূমপানে ধরা পড়লে ২০০ টাকা আর্থিক জরিমানা দিতে হবে অভিযুক্তকে। ‘স্পট ফাইন’ আদায়ের জন্যও কমিটি করা হচ্ছে। নিয়ম ভেঙে স্কুল, কলেজের একশো মিটারের মধ্যে ওই সব সামগ্রী বিক্রি করা হলে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
ফোসিনের সদস্য তথা দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাণা গোস্বামী বলেন, “এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতর, প্রশাসনকে সব রকম সাহায্য করা হবে।”