প্রতীকী ছবি।
মঙ্গলবার মাধ্যমিকে ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন ফের হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন দুই দিনাজপুর, মালদহের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরাও। এ বছর এখনও পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছে। অভিযোগ, এ দিন ভৌত বিজ্ঞান ছাড়াও ইতিমধ্যেই বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল ও অঙ্ক পরীক্ষা চলাকালীনও একই ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, পরীক্ষা শুরু হতেই মোবাইলের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসছে প্রশ্নপত্র। এ দিনও একই ঘটনা নিয়ে সরগরম ছিল মালদহ। প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে ইতিমধ্যে সিআইডির জালে ধরা পড়েছে মালদহের দুই পরীক্ষার্থী। ইংরেজবাজার এবং বৈষ্ণবনগর থেকে। এক পরীক্ষার্থীকে সিআইডি কর্তারা বিধাননগরে নিয়ে গিয়েছেন। অপর জনকে মালদহেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। একজনের মোবাইলে প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র সবই মিলেছে।
তারপরেও এ দিন প্রশ্নপত্র বাইরে বেড়িয়ে আসে বলে অভিযোগ। ইংরেজবাজার শহর লাগোয়া শান্তাদেবীয়া হাইস্কুলের বাইরে দেখা যায় পরীক্ষা শুরুর পর অভিভাবকদের একাংশের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে প্রশ্নপত্র। এক অভিভাবক বলেন, “কোথায় থেকে প্রশ্নপত্র আসছে জানি না। শুরু থেকেই দেখছি অভিভাবকদের মোবাইলে মোবাইলে প্রশ্নপত্র।” মালদহের এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক প্রদ্যুৎ বর্মন বলেন, “মাধ্যমিকের শুরু থেকেই প্রশ্নফাঁস হয়ে যাচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রথমে প্রশ্নফাঁসের বিষয়কে উড়িয়ে দিচ্ছিল। পরবর্তীতে কিছু জন ধরপাকড় হয়।” পরীক্ষার নামে প্রহসন হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপসকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, “যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন।”
উদ্বেগে বিভিন্ন জেলার পরীক্ষার্থীরাও। ইসলামপুরে পরীক্ষার্থী ঋক দাস বলেন, ‘‘পরীক্ষা দেওয়ার পরই শুনছি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। আবার পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’’ এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘‘পরীক্ষা বাতিল হলে আমরা যে সমস্যায় পড়ব, তার দায় কে নেবে?’’ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)মৃণালকান্তি রায়সিংহ বলেন, "জেলাতে কোনও গণ্ডগোল হয়নি।’’
মাধ্যমিকে পর পর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের ঘটনায় সতর্ক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃপক্ষ।