অসুস্থ: তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন সরকার। —নিজস্ব চিত্র
মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের ওপর হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে বামেরা। সেই অভিযোগ গ্রহণও করেছে শিলিগুড়ি থানা। তবে অভিযোগে বিরোধী কাউন্সিলরদের ‘দুর্বৃত্ত’ বলে উল্লেখ করায় রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো শিলিগুড়ি থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে তৃণমূলের বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার সহ কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল, নান্টু পাল, নিখিল সাহানি এবং রঞ্জন শীলশর্মার নাম রয়েছে। অভিযোগ পত্রে দু’বার ওই কাউন্সিলরদের ‘দুর্বৃত্ত’ বলে দাবি করা হয়েছে।
এমন গোলমালে জনপ্রতিনিধিদের নামের সঙ্গে ‘দুর্বৃত্ত’ শব্দ ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয় নয় বলে দাবি আইনজীবীদের একাংশেরও। অভিযোগদায়েরকারী ডেপুটি মেয়র রামভজনবাবুর ব্যাখ্যা ‘‘ওই কাউন্সিলররা অপরাধ করেছেন। সেই অর্থে অভিযোগে এমন লেখা হয়েছে। কাউন্সিলর পদকে অসম্মান করার উদ্দেশ্য নেই।’’
আইনজীবীদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন জনপ্রতিনিধের নামের সঙ্গে এমন বিশেষণ জোড়া অভিযোগ পুলিশ কেন গ্রহণ করল। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘অভিযোগে তাঁরা যা জানিয়েছেন সেই মতো সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।’’ শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সম্পাদক চন্দন দে বলেন, ‘‘যে ধরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে বর্বরোচিত, অসভ্য এমন বিশেষণের উল্লেখ করা যেত। কিন্তু ‘দুর্বৃত্ত’ কখনই লেখা উচিত হয়নি।’’
এ দিনের ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়ি তো বটেই রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু করেছে বামেরা। বাম কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার দাবি রয়েছে তৃণমূলের। তারাও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সেই সঙ্গে ডেপুটি মেয়রের অভিযোগকেও আক্রমণের নিশানা করেছেন তাঁরা। তৃণমূল কাউন্সলর কৃষ্ণ পালের দাবি, ‘‘কে দুর্বৃত্ত তা সকলেই জানেন। মিথ্যে অভিযোগের বিচার জনতার আদালতেও হবে।’’
অন্যদিকে, মেয়রের ওপর আক্রমণের অভিযোগের নিন্দা করলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। অভিযোগকে ‘প্রমাণসাপেক্ষ’ দাবি করেও তিনি বলেন, ‘‘ সরকার একের পর এক ভোটের ফলাফল দেখে হতাশ হয়ে পড়েছে। অশোকবাবুর মতো ব্যক্তির ওপর আক্রমণ সেই হতাশারই প্রতিফলন।’’