paddy

একটিমাত্র কাউন্টার, ধান বিক্রি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে

একটিমাত্র কাউন্টার। ফলে তাড়াতাড়ি কাজ হচ্ছে না বলে দাবি চাষিদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করণদিঘি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:২৮
Share:

করণদিঘি কৃষি বাজারে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

প্রতিটি ব্লকেই শুরু হয়েছে সরকারি ভাবে ধান কেনার কাজ। সমস্ত কিসান মান্ডিতেই সরকারি ন্যয্য মূল্য ১৮৮৮ টাকা কুইন্টাল দরে ধান নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, ধান কেনার গতি শ্লথ হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করণদিঘির চাষিদের।

Advertisement

একটিমাত্র কাউন্টার। ফলে তাড়াতাড়ি কাজ হচ্ছে না বলে দাবি চাষিদের। তাঁদের ক্ষোভ, সকাল থেকে নিজেদের কাজকর্ম ফেলে ধান বিক্রি করার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু, কোনও কোনওদিন ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেও ফিরে যেতে হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক ঘোরার পরে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় চাষি রুইসুল আলম, ধীরেন সিংহদের অভিযোগ, এত কিছু করার পরে ধান বিক্রির তারিখ মিলছে অনেক দেরিতে। এতদিন ধরে বাড়িতে ধান রেখে দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বুধবার কিসানমান্ডিতে লাইন দিয়েছিলেন ধানচাষি হাবিব আলম, রাজেন দাসরা। তাঁরা জানান, সপ্তাহ খানেক ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে কোনওরকমে নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। দশ দিন পরে আবার আসতে বলা হয়েছিল। তাই এ দিন এখানে সকাল থেকেই এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। ধান বিক্রির তারিখ মিলেছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। রাজেন বলেন, ‘‘এতদিন কী ভাবে ধান ফেলে রাখব!’’

Advertisement

চাষিরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগের বাড়িতেই জায়গার অভাব। তা ছাড়া, এত মাস ধান ফেলে রাখায় তা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক এক জন চাষির ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ কুইন্টাল ধান রয়েছে। কারও কারও কাছে তার চেয়েও বেশি। ফলে সেই সব ধান গাড়িতে করে কিসান মান্ডিতে এনে বিক্রি করাও খুব কষ্টকর। এই অবস্থায় অনেকে অভাবি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারি মূল্য ১৮৮৮ টাকা হলেও বাজারে ১৩০০টাকা দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। এক চাষি বলেন, কিসান মান্ডিতে এত দেরিতে ধান নেওয়া হচ্ছে যে জমির এত ধান বাড়িতে রাখাটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়ে খোলাবাজারেই ধান বিক্রি করতে হয়েছে। দামও মিলছে অনেকটাই কম। কারণ, ফেলে রাখলে পুরো ধানই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। করণদিঘির বিডিও বিজয় মোক্তান বলেন, ‘‘চাষিদের সমস্যার কথা শুনেছি। সমাধানের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন