হঠাৎ: পাখির ঘরে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
পাখির আস্তানায় আচমকা ব্যাঘ্র-দর্শন! বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাস চত্বরে বাঘের উপস্থিতিতে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খাঁচাযুক্ত একটি পিকআপভ্যানে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটির দেখা পেতেই মূহূর্তে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দাদের অনেকে বাঘ দেখার জন্য ভিড় জমিয়ে ফেলেন।
বন দফতর জানিয়েছে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার প্রজাতির ওই বাঘটিকে এ দিন ওই খাঁচাযুক্ত পিকআপভ্যানে চাপিয়ে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। টানা পাঁচ ঘণ্টা যাত্রার পরে বাঘটির সাময়িক বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। তাকে খাবার খাওয়ানোরও দরকার ছিল। সেই জন্যই কলকাতা যাওয়ার পথে এ দিন দুপুরে সেটিকে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাস চত্বরে ঢোকান বন দফতরের কর্মীরা।
সেখানে বাঘটি পৌঁছনোর পরে বন দফতরের কর্মীরা খাঁচার উপর থেকে ত্রিপল সরিয়ে দেন। তখনই বাসিন্দারা বাঘটিকে দেখতে পান। বাঘটিকে প্রায় এক ঘণ্টা পক্ষিনিবাসে রাখা হয়। সেখানেই তাকে জল ও ছাগলের মাংস খেতে দেওয়া হয়। পরে সেটিকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান বন দফতরের কর্মীরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বাসিন্দাদের দেখে কেউ মোবাইল ফোনে ছবি তোলার চেষ্টা করলে বাঘটি বিরক্ত হতে পারে। এই আশঙ্কা করে বন দফতরের কর্মীরা বাসিন্দাদের বাঘের খাঁচার সামনে যেতে দেননি। ফলে তাঁরা প্রায় ২০ ফুট দূর থেকেই বাঘদর্শন করে ফিরে যান।
রায়গঞ্জের দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা তথা শহরের একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের সভাপতি ভীমনারায়ণ মিত্রের বক্তব্য, বাসিন্দারা এ দিন পক্ষিনিবাসে চত্বরে কিছু ক্ষণের জন্য বাঘের দর্শন পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন।