ভুটানে বৃষ্টিতে উদ্বেগ

বৃষ্টি কমায় আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জল নেমে গিয়েছে৷ কিন্তু ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে জেলার বিভিন্ন নদীর জল বাড়ছে৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কালজানি ও তোর্সা নদীর জল সামান্য পরিমাণ বাড়তে শুরু করে৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:১১
Share:

সঙ্কটে: সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে স্কুলের একাংশ। দিনহাটার ওকড়াবাড়ির পঞ্চধ্বজী গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

বৃষ্টি কমায় আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জল নেমে গিয়েছে৷ কিন্তু ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে জেলার বিভিন্ন নদীর জল বাড়ছে৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কালজানি ও তোর্সা নদীর জল সামান্য পরিমাণ বাড়তে শুরু করে৷ সন্ধ্যার পর অবশ্য তা ফের কমলেও রাতে ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে৷

Advertisement

গতি কম থাকলেও, সোমবার রাতেও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল আলিপুরদুয়ারে৷ মঙ্গলবার দিনের বেলাতেও কয়েক দফা বৃষ্টি হয় জেলায়৷ সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৪৫.৬০ ও হাসিমারায় ৪২.২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়৷ তবে কোনও নদীতেই আপাতত বিপদ সঙ্কেত নেই৷

সোমবার রাতে জয়ন্তী নদীর পাশে পূর্ত দফতরের বাংলোর লাগোয়া এলাকা দিয়ে জয়ন্তী নদীর ঢুকতে শুরু করে জয়ন্তী বনবস্তি এলাকায়। বাসিন্দারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। রাতেই জয়ন্তীর বাসিন্দা ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে বালির বস্তা দিয়ে লোকালয়ে জল ঢোকা বন্ধ করা হয়। জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, ‘‘সমতলে সেভাবে ভারী বৃষ্টি না হলেও ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে বলে খবর রয়েছে। তার জেরেই বিভিন্ন নদীর জল খানিকটা বেড়েছিল৷ নদীগুলির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’

Advertisement

আলিপুরদুয়ার শহরের জম জল নেমে গেলেও কালজানি নদীর চর এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই বাঁধের ওপরে রয়ে গিয়েছেন৷ পুরসভার চেয়ারম্যান আশিস দত্ত জানিয়েছেন, শহরের সব এলাকা থেকেই জল নেমে গিয়েছে৷ প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, ভুটানে বৃষ্টির পরিস্থিতির দিকে প্রতিনিয়ত নজর রাখা হচ্ছে। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সোমবার ক্যারন ও বানারহাটের মাঝে রেল লাইনের উপর জল জমে যাওয়ায় আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কম গতিতে ট্রেন চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন