সন্ধে থেকে টানা বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল রবিবারের পুজোর কেনাকাটা। শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
বৃষ্টিতে পণ্ড হল রবিবারের পুজোর বাজার। শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি দুই শহরেই। এমনিতেই পাহাড়ের পরিস্থিতি জন্য কয়েক মাস ধরে কারবারে ভাঁটা পড়েছে বিধানমার্কেট, হিলকার্ট রোড হকার্স কর্নারের ব্যবসায়ীদের। তার উপর রবিবার সন্ধ্যায় বাজার জমে ওঠার মুখে প্রবল বৃষ্টিতে কেনাকাটা পণ্ড হল। জল, কাদায় কেনাকাটা মাঝ পথে থামিয়ে অনেকেই বাজার থেকে ফিরে আসেন।
বিধানমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুব্রত সাহা বলেন, ‘‘পাহাড়ের পরিস্থিতির জন্য এমনিতেই কারবার জমছে না। এখন পুজোর মুখে এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’’
এ দিন সন্ধ্যায় বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের রাস্তাগুলির একাংশেও জল জমে যায়। তার উপর বিধানমার্কেটের কয়েকটি রাস্তার অবস্থাও ভাল নয়। শেঠ শ্রীলাল মার্কেট কমিটির সম্পাদক খোকন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘অনেক ব্যবসায়ী জিএসটি’র জন্যও সমস্যায় পড়েছেন। তার উপর বর্ষায় রেল সেতু নষ্ট হয়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর পর বৃষ্টির জন্য পুজোর মুখে এ দিন যে ভাবে কেনাকাটা পণ্ড হল তাতে খুবই বিপদে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।’’
হিলকার্ট রোড ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সনৎ ভৌমিক, হকার্স কর্নার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবলু পালের পর্যবেক্ষণ, দুপুরে প্রচণ্ড গরম থাকায় লোকজন কম এসেছে বাজারে। বিকেল থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। পুজোর আগে রবিবারগুলোতে অনেক দোকানে কয়েক লক্ষ টাকার কেনাবেচাও হয়। কিন্তু সন্ধ্যার মুখে ভারি বৃষ্টিতে সব আশা ভরসা ধুয়ে গিয়েছে। সনৎবাবুর উদ্বেগ, ‘‘পুজো পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। তাতে চিন্তায় পড়েছি।’’
জলপাইগুড়িতেও সন্ধ্যা থেকে অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয় এ দিন। যার জেরে মহালয়ার আগে শেষ রবিবার মাথায় হাত পড়ে ওই শহরের ব্যবসায়ীদেরও। রেল যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়ায় জামা-কাপড় আনতে সমস্যা হওয়ায় পুজোর বাজার দেরিতেই শুরু হয়েছে, জানান ব্যবসায়ীরা। রবিবার বৃষ্টিতে কারবার শিকেয় ওঠায় আরও হতাশ তাঁরা৷
মার্চেন্ট রোডের ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসায়ী রঞ্জন গোপের কথায়, ‘‘মহালয়ার আগে শেষ রবিবার৷ অথচ, এ দিন ২০০ টাকার জামা-কাপড়ও বিক্রি করতে পারলাম না৷’’ ডিবিসি রোডের কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন ধর বলেন, ‘‘সারাদিন রোদ আর গরমের জন্য মানুষ বাজারমুখী হননি৷ সন্ধ্যার পর আবার জোর বৃষ্টি নামে৷ এ দিনের পুজোর বাজার একেবারেই শেষ হয়ে গেল৷’’ মার্চেন্ট রোডের কাপড় ব্যবসায়ী শঙ্করলাল সিংঘানিয়া বলেন, ‘‘রবিবার বিকেল থেকেই রাত পর্যন্ত কেনাবেচা চলবে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টিতে অনেকেই বাজারমুখী হননি।’’