উদ্বেগে মালদহ
কালিয়াচক ৩ ব্লকের শোভাপুর, পারদেওনাপুর, বিননগর প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা বর্ষায় নদী গর্ভে চলে যায়। গঙ্গা ফুলে ফেঁপে উঠলে জল বাড়ে ফুলহার নদীরও। ফলে ঘর ছাড়তে হয় মানিকচক ব্লকের ডোমহাট, ধরমপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ চন্ডীপুর, হিরানন্দপুরের বাসিন্দাদের। অতিরিক্ত বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মহানন্দা এবং টাঙন নদীতেও। ফলে বিপদে পড়েন পুরাতন মালদহ, হবিবপুর, বামনগোলা এবং গাজলের একাংশ এলাকার মানুষ। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবতোষ মণ্ডল বলেন, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সেচ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নিয়মিত নজর রাখছি।
চাষবাস
বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পাটচাষিরা! বৃষ্টির অভাবে শসাও রোদে শুকিয়ে যাচ্ছিল। এখন সামলে উঠেছে। একই অবস্থা ঝিঙে ও পটলের। উত্তর দিনাজপুরে আমন ধানের বীজ রোপন শুরু হয়েছে। এই সময়ে বৃষ্টিপাত হলে আমন ধান চাষের পক্ষে ভাল। সেই সঙ্গে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পাট কাটার কাজও শুরু হবে। যে সমস্ত চাষি এখনও জমি থেকে ভুট্টা তুলে শুকনোর কাজ শুরু করতে পারেননি, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে ভুট্টা শুকনোর কাজ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি দফতর!
আপাত স্বস্তি
রায়গঞ্জের কুলিক নদীতে জল বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই। ইটাহারের সুঁই নদী ও করণদিঘির নাগর নদীতেও বন্যা হওয়ার মতো জল বাড়েনি। তিনটি নদীর জলই এখনও পর্যন্ত বিপদসীমার অনেক নীচে দিয়ে বইছে।
নাজেহাল কোচবিহার
টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল কোচবিহার। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। ঝিরঝির করে বুধবার প্রায় ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দিনের গরমের পরে অবশ্য ওই বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে বাসিন্দাদের। ওই দিন রাতে তোর্সা, তিস্তা নদীতে জল বাড়তে শুরু করে। অবস্থা যে কোনও সময়ের হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে প্রশাসন। মেখলিগঞ্জের তিস্তাপয়েস্তি এলাকায় বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। কালজানি, শিঙ্গিজানি, ধরলা, বানিয়াদহ নদীর ধারে থাকা বসতি এলাকাও বিপদে।
জল বাড়ছে ডুর্য়াসে
তিস্তার জল অসংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে গিয়ে বিপদে ফেলেছে মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি ব্লকের এক হাজারেরও বেশি পরিবারকে। দোমহনি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং চাপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা চলতি সপ্তাহ থেকেই বানভাসির শিকার। ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে খোলা হয়েছে ত্রাণশিবিরও।
চেল, লিস, ঘিস, নেওড়া, মূর্তি, জলঢাকার জল ক্রমাগত বাড়ছে
লিস নদীর একটি ধারা পশ্চিম প্রান্তের রেলপথের কালভার্টের নীচ দিয়ে এসে প্রায় জাতীয় সড়ক ঘেঁষে চলেছে। প্রবল বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কে জল উঠে পড়ারও বিপদ রয়েছে এখানে। তবে এই বৃষ্টি স্বস্তি এনেছে ডুয়ার্সের চা বলয়ে। রাতে বৃষ্টি আর দিনে রোদ থাকায় চা বাগানে ভাল লাভ মিলতে শুরু করেছে।