এই দৃশ্য রোজকার। নিজস্ব চিত্র।
পুরসভার ব্যর্থতায় শিলিগুড়ি শহরে ফের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে বলে অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। সোমবার দুপুরে পুরসভার অধিবেশনে তাঁরা দাবি করলেন, প্লাস্টিক ক্যারিবাগ কবে বন্ধ কবে তার দিন ক্ষণ জানাতে হবে পুর কতৃর্পক্ষকে। তাঁদের দাবি, ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান ও সচেতনতার জন্য ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু আসল কাজের কাজ হচ্ছে না। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেছেন, ‘‘শহর প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ মুক্তই থাকবে। ভোটের সময় একটু সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। এ বার পুরোদমে অভিযানে নামছি।’’
তৃণমূল কাউন্সিলরদের কয়েক জন জানান, পুরসভা সাধারণ মানুষ এবং কাউন্সিলরদের উপর দায় চাপিয়ে হাত গুটিয়ে রয়েছে। নান্টু পালের অভিযোগ, ‘‘শহরের প্রতিটি বাজারে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। সব্জি থেকে মাছ, মাংস বিক্রেতারা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ দিচ্ছেন। মোমো, চাউমিন বিক্রেতা থেকে ফল বিক্রেতাদের কাছে সব জায়গাতেই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। এর আগের পুরবোর্ডের সময় শহরকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত করা গিয়েছে। অথচ বর্তমান পুরবোর্ডের সেই সদিচ্ছা নেই।’’
তাঁর সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে সরব হন তৃণমূলের কৃষ্ণ পাল, রঞ্জন শীলশর্মার মতো তৃণমূল কাউন্সিলরেরাও। কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘পুরসভার সদিচ্ছা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। কোনও একটা কাজও পুরবোর্ড ঠিকঠাক করতে পারছে না।’’ রঞ্জনবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘পুরসভা যে প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করছে তা ফের বাজারে চলে যাচ্ছে বলে শুনছি।’’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন চা বাগানে ত্রাণ পাঠানোর কাজে ওই সমস্ত প্লাস্টিক ক্যারিবাগ ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
মেয়র পারিষদ মুকুলবাবু জানান, বিরোধী দলনেতা নান্টুবাবুর স্ত্রীর ওয়ার্ডে বিধান মার্কেটে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। নান্টুবাবুও বলেন, ‘‘সেটা বন্ধ করুন না। আমরা সমস্ত সহযোগিতা করব।’’