তোর্সার সংস্কারে উদ্যোগ

পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে কোচবিহারে মরা তোর্সা নদী সংস্কারের পাশাপাশি লাগোয়া চত্বর সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার কোচবিহার শহর লাগোয়া বাবুরহাট এলাকায় ওই প্রকল্পের বাবুরহাট সেতু থেকে প্রস্তাবিত উদ্যানের সীমানা পর্যন্ত সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কাজের করেন রাজ্যের পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহর লাগোয়া বিমান বন্দরের সীমানা ঘেঁষে মরা তোর্সার প্রবাহ পথ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৫ ০১:২৩
Share:

পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে কোচবিহারে মরা তোর্সা নদী সংস্কারের পাশাপাশি লাগোয়া চত্বর সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার কোচবিহার শহর লাগোয়া বাবুরহাট এলাকায় ওই প্রকল্পের বাবুরহাট সেতু থেকে প্রস্তাবিত উদ্যানের সীমানা পর্যন্ত সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কাজের করেন রাজ্যের পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহর লাগোয়া বিমান বন্দরের সীমানা ঘেঁষে মরা তোর্সার প্রবাহ পথ রয়েছে। দীর্ঘ দিন সেটির সংস্কার হচ্ছে না। ফলে নদীর নাব্যতা কমেছে। নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা আবর্জনা ভরে যাওয়ায় দূষণ হচ্ছে। কোচবিহারের পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে প্রাথমিক ভাবে ওই নদী খাতের ৮ কিলোমিটার এলাকা খনন করে সংস্কারের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হলে সেখানে বোটিং চালু করা হবে।

Advertisement

ওই নদীর পাড় লাগোয়া এলাকায় পরিত্যক্ত বিশাল জমিতে পিকনিক স্পট, পর্যটক আবাস ও রাজমাতা গায়ত্রীদেবীর নামে উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। এ জন্য পর্যটন দফতর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, এলাকার সাংসদ, বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল-সহ বিভিন্ন দফতরের থেকে আর্থিক বরাদ্দ চেয়ে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব তথা নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে নদী সংস্কার করে লাগোয়া এলাকায় সৌন্দর্যায়নে একাধিক কাজ করা হবে। বিধায়ক তহবিল থেকে এ জন্য প্রাথমিক ভাবে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছি। অন্যান্য দফতর, জন প্রতিনিধিরাও আগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে টাকার সমস্যা হবে না।” জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “শুধুমাত্র মরা তোর্সা সংস্কারে একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকার কাজ করান হবে। নদীর পাড়ের দু’ধারে সবুজায়ন-সহ প্রায় ২০ হেক্টর এলাকা জুড়ে প্রকল্পটি তৈরি হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন