আপাতত স্বস্তি পেল দাড়িভিট

ধৃতদের পরিবারের তরফেও আন্দোলনে নামার কথা জানানো হয়েছিল। সোমবার এক জন এবং মঙ্গলবার বাকি সাত জন শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেতেই তাই ফের স্কুল বন্ধের আশঙ্কা কাটল বলেই মনে করছেন অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

ফের তালা বন্ধ হবে না তো স্কুল? স্কুলে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত হবে তো? রেজিস্ট্রেশনও হয়নি নবম দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের। সে কারণে মঙ্গলবার দাড়িভিটের বাসিন্দাদের নজর ছিল ইসলামপুরের আদালতের দিকে। কেননা, দাড়িভিট কাণ্ডে ধৃতরা জামিন না পেলে ফের স্কুল বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। ধৃতদের পরিবারের তরফেও আন্দোলনে নামার কথা জানানো হয়েছিল। সোমবার এক জন এবং মঙ্গলবার বাকি সাত জন শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেতেই তাই ফের স্কুল বন্ধের আশঙ্কা কাটল বলেই মনে করছেন অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা।

Advertisement

গত শনিবার ধৃতদের মুক্তি এবং সিবিআই তদন্তের দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখার শর্তে স্কুল খুলতে দেয় নিহতদের পরিবার। সোমবার থেকে স্কুলে ক্লাসও শুরু হয়েছে। ১৫ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা রয়েছে। সোমবার সেই সূচিও দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ২৬ নভেম্বর থেকে।

নিহত রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমলবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ধৃতেরা জামিন পেয়েছেন বলেই জানতে পেরেছি। বুধবার ধর্না মঞ্চে গিয়েই আমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাব।’’ বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন জানান, স্কুল বন্ধ করে আন্দোলনের পক্ষে নন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘স্কুল বন্ধ করে আর কোনও আন্দোলন চাই না আমরা। এতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে। তবে আগামীতে আরও ভয়ঙ্কর আন্দোলন করব। স্কুল খোলা রেখে পড়ুয়ারাও তাতে সামিল হবে।’’

Advertisement

তবে দাড়িভিট স্কুলের শিক্ষকরা জানান, পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন বা যে সমস্যা রয়েছে, তা কেটে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।

মঙ্গলবার ছট পুজো। তাই সরকারি ছুটির তালিকা মেনে দাড়িভিট স্কুলও ছিল বন্ধ। বুধবার ফের স্কুল খুলবে। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কয়েকজন বলে, ‘‘পরীক্ষা হবে বলেই জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখন অনেকটাই নিশ্চিত ভাবেই পরীক্ষা হবে বলে মনে করছি। তবে পরীক্ষা শুরু না হওয়া পর্যন্ত চিন্তা থাকবেই।’’

ধৃতেরা জমিন পাওয়ায় ধৃতদের পরিবারের সদস্যরাও হাঁফ ছেড়েছেন। নথিপত্র সমস্ত জমা দিয়ে দ্রুত তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন, সেই আশায় অপেক্ষা করছেন। ধৃত নীলকমল শিকারির ছেলে নরেন শিকারি বলেন, ‘‘বাবা জামিন পেয়েছেন। অন্যরাও পেয়েছেন। তাতে অনেকটাই নিশ্চিন্ত। যদিও আদালতের তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে।’’

ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালা বলেন, ‘‘নিহতদের শর্তের মধ্যে ছিল ধৃতদের জামিনের বিষয়টি। তাই স্কুল স্বাভাবিক ভাবে চলার ক্ষেত্রে বাধা থাকবে না বলেই মনে করি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement