অবসর জীবন শিশুদের গল্প শুনিয়ে কাটাতে চান জেলার শিক্ষকরা। হলদিবাড়ির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন।
সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক হরেকৃষ্ণ রায় হলদিবাড়ির সমস্ত শিশু আলয়ের শিশুদের এলাকার প্রবীণদের দিয়ে গল্প শোনানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। হলদিবাড়ির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হয়ে প্রদীপ বাগ বলেন, “এরকম একটা পরিকল্পনা খুবই সুন্দর। আমরা যারা শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছি তাঁদের শিশুদের গল্প শোনাতে খুবই ভাল লাগবে।’’ সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের আধিকারিকের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করবেন বলে জানান।
হলদিবাড়ির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কেউ থাকেন হলদিবাড়ি শহরে। আবার কেউ হলদিবাড়ির গ্রামাঞ্চলে বাস করেন। এরা সকলেই গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে এরকম গল্প শোনাতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। হলদিবাড়ির ধারানগর এলাকার বাসিন্দা ভানুমোহন চৌধুরী প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। ২০১০ সালে অবসর নিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখন যেন কিছু করেই সময় কাটে না। আমার বাড়ির আশেপাশে যে সমস্ত শিশু আলয় আছে আমি অবশ্যই সেখানে গিয়ে গল্প শোনাব।”
এই ইচ্ছের কথা জানাতে জানাতে স্মৃতিচারণে ডুবে গিয়েছিলেন অনেকেই। যখন শিশু ছিলেন তাঁরা সকলেই দাদু-ঠাকুমার কাছে গল্প শুনে বড় হয়েছেন। এখনকার শিশুদের কাছে সেই সুযোগ কম। শিশুদের সেই অভাব পূরণের জন্য এগিয়ে আসতে চাইছেন সেই শিক্ষকেরা। হলদিবাড়িতে মোট ২৪০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টিতে শিশু আলয় চালু হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত ওই শিশু আলয় খোলা থাকে। সারা সময় খেলায় মেতে থাকে সেখানকার শিশুরা। আরও একটা জিনিসের জন্য মুখিয়ে থাকে ওই শিশুরা। তা হল গল্প শোনা। তার জন্য বরাদ্দ থাকে আলাদা সময়। সেই সময় এলাকার বয়স্ক ব্যক্তিরা গিয়ে তাদের গল্প শোনাবেন এরকমই উদ্যোগ নেওযা হয়েছে।
হলদিবাড়ি ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক হরেকৃষ্ণ রায় বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা শিশুদের গল্প শোনাতে এগিয়ে এলে খুবই ভাল হবে। তাঁদের আমরা গল্প বলার সুযোগ করে দেব।”