বাসের ধাক্কায় মৃত্যু

বুধবার মৃতের নাম উপেন্দ্রনাথ বর্মন (৬০)। রায়গঞ্জ শহরের বিদ্রোহী মোড় সংলগ্ন বীরনগর এলাকায় রায়গঞ্জ-কসবা রাজ্য সড়কে তাঁকে ধাক্কা দেয় বাসটি। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জ থানার বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রূপাহার এলাকায়। পেশায় চাষি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৪:৩২
Share:

রং-রুট: রায়গঞ্জের বিবিডিমোড়ের রাজ্য সড়কে উল্টোলেনে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন স্কুটার, ছোট গাড়ি। লেগেই থাকে যানজট। নিজস্ব চিত্র

সোমবার রাতে জাতীয় সড়কে উল্টো লেন দিয়ে গাড়ি চলে এসে ধাক্কা দিয়েছিল একটি বোলেরো গাড়িকে। তাতে ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন ৫ জন। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই এ বার রায়গঞ্জ-কসবা রাজ্য সড়কে সরকারি বাসের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হল। এ বার অভিযোগ উঠেছে, কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মীর গাফিলতিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে। পরপর দু’টি ঘটনায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকেরই দাবি, রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে পুলিশের যে নজর থাকা উচিত, তা থাকে না। আর সে কারণেই দুর্ঘটনা হয়।

Advertisement

বুধবার মৃতের নাম উপেন্দ্রনাথ বর্মন (৬০)। রায়গঞ্জ শহরের বিদ্রোহী মোড় সংলগ্ন বীরনগর এলাকায় রায়গঞ্জ-কসবা রাজ্য সড়কে তাঁকে ধাক্কা দেয় বাসটি। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জ থানার বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রূপাহার এলাকায়। পেশায় চাষি। ওই এলাকার বাসিন্দারাই ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। বাসের চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবালের দাবি, মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, ট্রাফিক পুলিশের কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্রোহী মোড় এলাকায় যে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, উপেন্দ্রনাথ এ দিন বাড়ি থেকে তাঁর বড় ছেলে মনোরঞ্জনের সাইকেলের পিছনের ক্যারিয়ারে বসে ছিলেন। রায়গঞ্জগামী একটি বাস তাঁদের সাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। উপেন্দ্রনাথ সাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। সেই সময় বাসটির পিছনের চাকা তাঁর বাঁ হাত ও বুকের উপরে উঠে যায়। বাসিন্দারা চিত্কার চেঁচামেচি করায় চালক বাসটি সামান্য পিছিয়ে দেন। এরপর বাসিন্দারা রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপেন্দ্রনাথকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্য হয়।

দুর্ঘটনার পর চালক বাস নিয়ে নিগমের রায়গঞ্জ ডিপোতে চলে যান। সেখান থেকেই পুলিশ তাঁকে আটক করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে বিদ্রোহী মোড় এলাকার তিনমাথার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন।

অথচ ট্রাফিক পুলিশের সামনেই প্রতিদিন বীরনগর এলাকার রাজ্য সড়ক দিয়ে বিদ্রোহী মোড় হয়ে দ্রুতগতিতে বিভিন্ন যানবাহন শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যাতায়াত করে। ফলে মাঝে মধ্যেই বাইক, টোটো ও ছোটগাড়ির ধাক্কায় বাসিন্দারা জখম হচ্ছেন। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। সব সড়কেই পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন