রাস্তার দাবিতে ছ’ঘণ্টার অবরোধ জাতীয় সড়কে

গোয়ালপাড়ার কদমতলা থেকে কালীতলা হয়ে তাহেরপুর হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার মাটি ও ইটের তৈরি। সেই রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে এ দিন সকালেই জাতীয় সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভে বসেন কয়েকশো গ্রামবাসী। বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশকর্মীরা অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৬
Share:

দাবি: রাস্তার তৈরির দাবিতে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র

এলাকার একটি রাস্তা পাকা করার দাবিতে বাসিন্দাদের বিক্ষোভে প্রায় ছ’ঘণ্টা অবরুদ্ধ রইল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। নাইলনের দড়ি টাঙিয়ে এবং বেঞ্চ পেতে গোয়ালপাড়ায় অবরোধ করলেন বরুয়া গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ওই রাস্তায় যানচলাচল ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

Advertisement

গোয়ালপাড়ার কদমতলা থেকে কালীতলা হয়ে তাহেরপুর হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার মাটি ও ইটের তৈরি। সেই রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে এ দিন সকালেই জাতীয় সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভে বসেন কয়েকশো গ্রামবাসী। বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশকর্মীরা অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশকর্মীরা লাঠি নিয়ে আন্দোলনকারীদের তাড়া করলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। বাসিন্দারা জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ আন্দোলনকারীদের দীর্ঘ ক্ষণ বুঝিয়েও অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয়।

উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা ঘটনাস্থলে এসে পাকা রাস্তা তৈরির আশ্বাস দিলে তবেই অবরোধ উঠবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ জেলা প্রশাসনকে আন্দোলনকারীদের ওই দাবির কথা জানায়। এর পর জেলা প্রশাসনের এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের দ্রুত পাকা রাস্তা তৈরির আশ্বাস দেন। তবে জেলাশাসকের ঘটনাস্থলে আসার দাবিতে আন্দোলনকারীরা দীর্ঘ ক্ষণ অনড় ছিলেন। বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ মহকুমাশাসক রজতকান্তি বিশ্বাস, জেলা পরিষদের তৃণমূলের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে, রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস ও রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহকারী সভাপতি মানসকুমার ঘোষ পৌঁছন। আন্দোলনকারীরা তাঁদের বেহাল রাস্তা পরিদর্শন করান। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৪টে নাগাদ মহকুমাশাসক আজ, শুক্রবারের মধ্যে পাকা রাস্তার কাজ শুরুর আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

মহকুমাশাসক রজতবাবুর দাবি, ‘‘টেন্ডার নিয়ে সমস্যা থাকায় ও গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণে রাস্তাটি এত দিন সংস্কার হয়নি। তবে জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার থেকেই জেলা পরিষদ রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু করা করবে।’’

এ দিন ইটাহার থেকে টুঙ্গিদিঘি পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকায় কয়েক হাজার ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। পুলিশকর্মীরা রায়গঞ্জ থেকে মালদহ ও ইটাহার রুটের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বাস এবং ট্রেকার বিদ্রোহী মোড় ও কসবা হয়ে ঘুরিয়ে দেয়। ফলে বিদ্রোহীমোড়, বীরনগর, দেবীনগর ও কসবার রাজ্য সড়কে যানজটে বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েন বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন