রাস্তা ‘দখল’, দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ হিল কার্ট

মিছিল শুরুর ঢের আগে থেকেই তৃণমূল কর্মীরা রাস্তার ‘দখল’ নেওয়ায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকল হিলকার্ট রোড। এ দিন দুপুর দু’টোর কিছু পরেই তৃণমূল কর্মীরা হিলকার্ট রোডের ওপরে জড়ো হওয়ায় বাইক থেকে বাস সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৩২
Share:

মিছিল শুরুর ঢের আগে থেকেই তৃণমূল কর্মীরা রাস্তার ‘দখল’ নেওয়ায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকল হিলকার্ট রোড। এ দিন দুপুর দু’টোর কিছু পরেই তৃণমূল কর্মীরা হিলকার্ট রোডের ওপরে জড়ো হওয়ায় বাইক থেকে বাস সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় তুমুল বিশৃঙ্খলা। ঘণ্টা খানেক দাড়িয়ে থাকল স্কুলবাস থেকে সিটি আটো-ছোট গাড়ি। স্কুল ছুটির পরে দীর্ঘ ক্ষণ বাসে বসে থেকে খিদে-গরমেও কষ্ট পেয়েছে পড়ুয়ারা। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ যাত্রী এবং পথচারীদেরও। কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মহামিছিল ছিল শিলিগুড়িতে। দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের নেতৃত্বে হিলকার্ট রোডের মহানন্দা সেতুর লাগোয়া মোড় থেকে মিছিল শুরু হয় দুপুর তিনটে নাগাদ। তার প্রায় আধ ঘণ্টা আগে থেকে হিলকার্ট রোডের একদিক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিল সামলাতে হিলকার্ট রোডেই ছিলেন শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব), শিলিগুড়ি থানার আইসি সহ বড়সর পুলিশ বাহিনী। তাদের সামনেই রাস্তা বন্ধ করে তৃণমূল কর্মীরা জড়ো হয়ে থাকেন। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। তখন থেকেই দুর্ভোগের শুরু।

Advertisement

এ দিন দুপুর দু’টো থেকেই মহানন্দা সেতুর পাশে জড়ো হতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। হঠাৎই একটি মিছিল এসে সেতু লাগোয়া হিলকার্ট রোডের একদিক জুড়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তখনও মিছিল শুরু হতে ঢের দেরি রয়েছে। পুলিশ কর্মীদের কয়েকজন রাস্তার একপাশে সরে দাঁড়াতে বললেও, তৃণমূল কর্মীরা তাতে কান দেননি। প্রায় ৪৫ মিনিট পরে মিছিল শুরু হয়। তখনও রাস্তায় যান চলাচল শুরু হয়নি। হিলকার্ট রোড দিয়ে হাসমিচক হয়ে বাঘাযতীন পার্কে মিছিল যায়। পুরো রাস্তা যেতে সময় লেগে যায় আরও প্রায় এক ঘণ্টা। যানচলাচল স্বাভাবিক হতে বিকেল হয়ে যায়। জনজীবন বিপর্যস্ত করে বন্‌ধ ডাকা বা ব্যস্ত সময়ে রাস্তায় মিছিল করা নিয়েও তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব তথা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শিলিগুড়িতে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ নিয়ে মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, ‘‘স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রচুর মানুষ মিছিলে যোগ দিয়েছেন। তার জেরে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। তবে যানচলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য পুলিশকে আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল।’’

বাঘাযতীন পার্কে মিছিল পৌঁছনোর পরে কয়েক মিনিটের বক্তব্যও রাখেন গৌতমবাবু। তিনি জানান আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে শিলিগুড়ি জুড়ে আন্দোলন হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো, রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগের সঙ্গে বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের বোর্ডের ইস্তফা চেয়েও আন্দোলন শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘‘বাম বোর্ড কাজের থেকে বেশি সভা-সমাবেশ রাজনীতি করে। এরা যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেবে ততই শিলিগুড়িবাসীর ভাল হবে।’’ পুরসভার বাম বোর্ডের মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘মানুষকে কারা দুর্ভোগে ফেলে, তা শিলিগুড়িবাসী এ দিন ফের টের পেয়েছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন