মিথ্যে অভিযোগে হয়রানির বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র
দুই রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগে মিছিল, বিক্ষোভ, পথ অবরোধে শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়াল শামুকতলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও ঘটনাস্থলে আসেন। এলাকার আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অভিযোগে যুব কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক সভাপতি ধিলন মারান্ডি-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিক্ষোভ কর্মসূচি কোনও রাজনৈতিক ব্যানারে না হলেও যুব কংগ্রেসের সভাপতি ধিলনবাবুর নেতৃত্বে তা সংগঠিত হয়। তিনি জানান, হাসপাতালে বাসিন্দাদের একাংশের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকেরা ১১ জন নির্দোষ ব্যক্তির নামে অভিযোগ করেন। স্বাস্থ্য কর্তারা অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তদন্তের আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত তাতে উদ্যোগী হয়নি। এর প্রতিবাদেই মানুষ গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। ধিলনবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ গায়ের জোরে গ্রেফতার করে আন্দোলনে থামানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।’’
এ দিকে শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধ রাখা আজ দ্বিতীয় দিনে পড়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আলিপুরদুয়ার শাখার পক্ষ থেকে আগামী সোমবার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এই দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
শ্বাসনালীতে খাবার আটকে এবং সাপের কামড়ে দুই রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মঙ্গল ও বুধবার শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুই চিকিৎসককে হেনস্থা করা হয়। এই ঘটনায় ১১ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পরে। পুলিশ এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে। সংগঠনের সভাপতি সজল ভট্টাচার্য এবং সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস জানিয়েছেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। শামুকতলার ঘটনাটি শেষ সংযোজন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করা হলে আন্দোলন জোরদার করা হবে।’’