বার্তা অহলুওয়ালিয়ার

সংগঠনে বাড়াতে অস্ত্র খিচুড়িই

অনেককে একসঙ্গে নিয়ে পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যাপারে খিচুড়ির জবাব নেই। তা সে পুজো উপলক্ষে ভোজই হোক, বা মিড ডে মিল। এ বার সেই খিচুড়িকেই সংগঠন বৃদ্ধির হাতিয়ার করতে চাইছেন সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শনিবার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে এই পরমার্শই দিয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্বকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০২
Share:

শিলিগুড়ির কর্মিসভায় বিজেপি সাংসদ। — নিজস্ব চিত্র

অনেককে একসঙ্গে নিয়ে পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যাপারে খিচুড়ির জবাব নেই। তা সে পুজো উপলক্ষে ভোজই হোক, বা মিড ডে মিল। এ বার সেই খিচুড়িকেই সংগঠন বৃদ্ধির হাতিয়ার করতে চাইছেন সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শনিবার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে এই পরমার্শই দিয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্বকে।

Advertisement

শনিবার বিকেলে শিলিগুড়ির চার্চরোডে কর্মিসভায় অহলুওয়ালিয়া আরও জানিয়েছেন, শুধু দলের কর্মীদের নয় সভাস্থলের আশেপাশে থাকা বাসিন্দা এবং পথচারীদেরও খিচুড়ি খেতে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। কোনও গ্রামে সভা হলে সেখানকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে খিচুড়ি রান্নার জন্য এক মুঠো চাল সংগ্রহেরও নির্দেশ মন্ত্রীর।

খিচুড়ি কী ভাবে সংগঠন বাড়াতে সাহায্য করবে, তার বিশদ ব্যাখ্যা দেন অহলুওয়ালিয়া। তাঁর কথায়, খিচুড়ি রান্নায় বেশি সময় লাগে না। পরিবেশনেরও ঝক্কি কম। চাল-ডালের সঙ্গে আলু-ফুলকপি বা অন্যান্য মরসুমি সব্জি ফুটিয়ে নিলে আলাদা করে আর কোনও পদ রান্নার প্রয়োজনও হয় না। একসঙ্গে অনেকে পাতপেড়ে খেতেও পারেন। অহলুওয়ালিয়ার কথায়, ‘‘বেশি না এক মুঠো করে চাল সংগ্রহ করুন। তাতে অনেককে সামিল করা যাবে। সরকারি দল বলে মণ্ডা-মিঠাই এলাহি আয়োজন করলে হবে না। খিচুড়ি খাওয়ার সময়ে গল্পগুজব হবে। সমন্বয়ও বাড়বে।’’ প্যাকেট করা খাবার দিলে সভার শেষে সকলে হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান বলে মন্ত্রীর অভিজ্ঞতা। কিন্তু পাতপেড়ে খিচুড়ি খাওয়া হলে সকলেই আরও বেশি সময় সভাস্থলে কাটাবেন বলে আশা সাংসদের।

Advertisement

সংগঠনের হাল দেখেই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খিচুড়ির শরণাপন্ন হয়েছেন বলে দলের অন্দরের খবর। আড়াই বছর আগে লোকসভা ভোটে ‘মোদী-হাওয়া’র যে সুফল মিলেছে তা আগামী লোকসভা ভোটে সক্রিয় থাকবে না বলেই নেতাদের দাবি। সে কারণেই আগে থেকে সংগঠন মজবুত করতে অহলুওয়ালিয়ার তৎপরতা। কর্মিসভায় তিনি বলেন, ‘‘সংগঠন নেই বলেই এলাকার সমস্যার ব্যাপারে ঠিকমতো খোঁজ মেলে না। এ ভাবে আর চলবে না। যে ভাবে সংগঠন গড়া উচিত ছিল তা হয়নি। এ বার নতুন করে সংগঠন গড়তে হবে।’’

এ দিনের কর্মিসভায় যাঁরা এসেছিলেন সকলকে ফোন নম্বর-সহ নানা তথ্য জানিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হয়। সকলকে নিয়ে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ হবে। কর্মিসভায় নিজের নম্বরও মাইকে ঘোষণা করে যে কোনও তথ্য এবং সাংগঠনিক বিষয় হোয়াটস অ্যাপে জানাতে আর্জি জানিয়েছেন অহলুওয়ালিয়া। এ দিনের সভায় বক্তৃতার শেষে অহলুওয়ালিয়ার নির্দেশ, যে যত বড়ই নেতা হোন না কেন, চেয়ার-টেবিলে নয়, মাটিতে বসেই সকলকে খিচুড়ি খেতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement