TMC

‘আমি দিদির সৈনিক, ভুল শুধরে নিতে চাই,’ এ বার ‘উপলব্ধি’ মালদহের সেই সরলার

বিধানসভা ভোটে মালদহের হবিবপুর থেকে সরলাকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। যদিও পরে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২১ ১২:৪২
Share:

সরলা মুর্মু। নিজস্ব চিত্র

সোনালি গুহ, অমল আচার্যের পর মালদহের সরলা মুর্মু। এ বার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন সরলাও। প্রসঙ্গত বিধানসভা ভোটে তাঁকেই মালদহের হবিবপুর কেন্দ্র থেকে প্রথমে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু দলের সেই সিদ্ধান্ত উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন সরলা। পরে প্রার্থী বদলাতে হয় জোড়াফুল শিবিরকে। এখন অবশ্য সরলা বলছেন, ‘‘বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ভুল শুধরে নিতে চাই।’’

Advertisement

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর দলত্যাগীদের রাজনৈতিক অবস্থান কী হয়, তা দেখার ছিল। শনিবারই তৃণমূলে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন সোনালি। তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন ইটাহারের অমলও। সেই সুরে সুর মিলিয়ে সরলা বলছেন, ‘‘আমি তৃণমূলই করে এসেছি। ওখানে নেতৃত্ব দিতাম। আমি অনেক পদেও ছিলাম। বিজেপি-তে যাওয়াটা আমার ভুল হয়েছে। নিজেই বুঝতে পারছি ভুল হয়েছে। ভোটপর্ব যখন চলে তখনই আমি বুঝতে পেরেছি। আমি ঘরের মধ্যেই ছিলাম। যারা রাগ, অভিমান করে দলত্যাগ করেছে তাদের দলে ফেরানোর জন্য দিদি বার্তা দিয়েছেন। তাঁর ডাকে আমি সাড়া দিচ্ছি। উনি আমাদের গ্রহণ করলে আমরা দিদির সঙ্গে অবশ্যই কাজ করব। যে ভাবে ওঁর সৈনিক হিসাবে কাজ করছিলাম। সেভাবেই কাজ করতে চাই।’’

কেন বিজেপি ছাড়তে চান? সেই প্রশ্নের উত্তরে সরলার দাবি, ‘‘আমি মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। আমি দিদির হয়েই থাকব। দিদি যেন আমার ভুল ক্ষমা করে দেন। বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। আমি ভুল শুধরে নিতে চাই।’’

Advertisement


সরলা বিজেপি ছাড়লে মালদহ জেলা পরিষদের আসন বিন্যাসও ভিন্ন রকম হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, মালদহ জেলা পরিষদে মোট ৩৮ জন সদস্য। এর মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৩৭টি আসনের মধ্যে ২৯টি তৃণমূল, ৬টি বিজেপি এবং ২টি কংগ্রেসের ছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ ১৪ জন সদস্য বিজেপিতে যান। এর পর বিজেপি-র ২ সদস্য আবার তৃণমূলে যোগ দেন। জেলার তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, সরলা-সহ ৬ জন সদস্য যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা ফের জোড়াফুল শিবিরে আসতে চান। তবে মহামারি পরিস্থিতিতে অনাস্থা ডাকা নিয়ে আপত্তি রয়েছে জেলা প্রশাসনের। তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘‘আমরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ সকলের বিরুদ্ধেই অনাস্থা ডাকব। আমরা গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে সরাব। কারণ এই মুহূর্তে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা বেশি। রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে আমরা আগামী মঙ্গলবার বৈঠক করব। তাতেই সিদ্ধান্ত হবে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন