মায়ের স্কুটার থেকে ছিটকে পড়ার পরে ৮ বছরের ইয়াস বর্ধন পিষ্ট হয় লরির চাকায়। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু খুদের। জখম তার মা এবং ভাই। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাসের বানেশ্বর মোড় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর আটেকের ইয়াস বর্ধন এবং তার ভাই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। মা স্কুটার চালাচ্ছিলেন। দুই ভাই বসেছিল পিছনের আসনে। হঠাৎ পিছন থেকে দ্রুত গতিতে একটি বাইক ধাক্কা মারে তাদের স্কুটারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন মা এবং দুই সন্তান। সেই সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকায় পিষে যায় ছোট্ট ইয়াস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ভক্তিনগর থানার পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলের অনতিদূরে শুক্রবারই নতুন ট্র্যাফিক বুথের উদ্বোধন হয়েছে। ওই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা হয়েছে। তার পরেও পুলিশের গা ছাড়া মনোভাব দেখা গিয়েছে।
বিক্ষোভের মধ্যে স্কুলছাত্রের দেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। এমন ঘটনায় ওই এলাকার কাউন্সিলর দীপ্ত কর্মকার শোকপ্রকাশ করেছেন। ট্রাফিক এসিপি এ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছি আমরা। ইস্টার্ন বাইপাসকে কেন্দ্র করে যে স্কুল গুলো রয়েছে, সেখানে গার্ডরেল দিয়ে গতি নিয়ন্ত্রন করা হয়৷ কিন্তু তার পরেও এই ঘটনা হয়েছে। কী ভাবে হল, তদন্ত শুরু হয়েছে৷’’