পঞ্চমীতেই নেই রাজ্য মেডিক্যাল

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে হাসপাতালের সহকারী সুপার বিপ্লব হালদার জানান, সরকারি কাজে বুধবার তিনি কলকাতায় গিয়েছেন। দু’একদিনের মধ্যে হাসপাতালে ফিরবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১৮
Share:

আউটডোরে লাইন রোগীদের। নিজস্ব চিত্র

অধ্যক্ষ নেই। নেই সহকারী অধ্যক্ষ। দুই সুপারও বাইরে। ভারপ্রাপ্ত সহকারী সুপারও অনুপস্থিত। বৃহস্পতিবার, পঞ্চমীর দিন কার্যত ‘কর্তৃপক্ষহীন’ রইল রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। শ’খানেক চিকিৎসকের মধ্যে ১৪ জনই নেই। তার উপর বুধবার থেকে বন্ধ প্রশাসনিক বিভাগ। সেখানে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি। এর জেরে পুজোর মুখে রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক ও নার্সেরা হিমশিম খান। পরিষেবা নিয়ে কিছু রোগীর পরিবারের অভিযোগ থাকলেও তা জানাতে পারেননি তাঁরা।

Advertisement

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে হাসপাতালের সহকারী সুপার বিপ্লব হালদার জানান, সরকারি কাজে বুধবার তিনি কলকাতায় গিয়েছেন। দু’একদিনের মধ্যে হাসপাতালে ফিরবেন। সেইসঙ্গে বিপ্লব জানান, পুজোয় মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াদের ছুটি হয়ে যায়। তাই বুধবার হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পাল কলকাতার বাড়িতে চলে গিয়েছেন। সহকারী অধ্যক্ষ সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়ও গত মঙ্গলবার সরকারী কাজে কলকাতায় গিয়েছেন। প্রশাসনিক বিভাগ ছুটি হয়ে যাওয়ার কারণে হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার পান্না বিশ্বাসও বুধবার রায়গঞ্জের বাইরে চলে গিয়েছেন। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার শ্যামশ্রী চাকির দাবি, অসুস্থতার কারণে তিনি এদিন হাসপাতালে যেতে পারেননি। ফলে এ দিন কোনও কর্তাব্যক্তিই ছিলেন না হাসপাতালে।

ওই হাসপাতালে প্রায় একশো জন চিকিৎসক ও দেড়শোরও বেশি নার্স রয়েছেন। হাসপাতালের বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, পুজোর মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে এবছর কর্তৃপক্ষ কোনও চিকিৎসক ও নার্সকে পুজোর ছুটি দেননি। ফলে তাঁরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত ছুটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিপ্লব বলেন, ‘‘কোনও চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে পরিষেবা ব্যাহত করে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশে এবছর অষ্টমী ও দশমীর দিন হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে।

Advertisement

কুশমণ্ডির বাসিন্দা শেখ তামিজুদ্দিন জানিয়েছেন, তাঁর সাড়ে ছ’মাস বয়সী নাতি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। তিনি বলেন, ‘‘গত দুদিন ধরে আমার নাতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের শিশুবিভাগে চিকিৎসাধীন। অথচ চিকিৎসক তাকে নিয়মিত দেখতে আসছেন না। এ দিন হাসপাতালের কোনও কর্তা না থাকায় কাউকে অভিযোগও জানাতে পারছি না।’’ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কথায়, একাধিক ওয়ার্ডে বিভিন্ন ওষুধ ফুরিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে কোনও কর্তা না থাকায় সমস্যার কথা জানাতে পারছি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন