প্রতীকী চিত্র।
সিমিকের নম্বরের গাড়িতে হামলার ঘটনা অব্যাহত। মঙ্গলবার রাতে ধূপগুড়িতে একটি মালবোঝাই সিকিমের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় গাড়িচালকেরা। বুধবার এনজেপি থানার জাবরাভিটা এলাকায় ভাঙচুর চালানো হল আরও একটি সিকিম নম্বরের ট্রাকে। চালক এবং তাঁর ছেলেকে মারধর করে ট্রাকের আনাজপাতি লুঠ করা হয় বলেও অভিযোগ।
সিকিমের সিংতামে এই ট্রাকটিতে আনাজপাতি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গত কয়েক দিন ধরে সিকিম নম্বরের গা়ড়িতে হামলা হচ্ছে বলে চালক শিলিগুড়ি শহরের রাস্তা এড়িয়ে বাইপাস ধরে সোজা শালুগাড়া দিয়ে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। তিনি জাবরাভিটা আন্ডারপাস দিয়ে যাওয়ার সময়ে কয়েক জনের নজরে পড়ে যান। নম্বর প্লেট দেখেই এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা এগিয়ে এসে ট্রাকটিকে থামান। অভিযোগ, তার পরেই শুরু হয় ভাঙচুর, চালক ও খালাসিকে মারধর। গাড়ির পিছনে রাখা কেক, বিস্কিটের প্যাকেটও নামিয়ে নেওয়া হয়।
পরে উত্তেজিত বাসিন্দাদের দাবি, পাহাড়ে বন্ধ করে আলাদা রাজ্যের দাবিতে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করা হচ্ছে। সিকিম সরকার আলাদা রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। পর্যটক থেকে সাধারণ পাহাড়বাসী চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন। এই অবস্থায় সমতল থেকে পাহাড়ে একশ্রেণির মানুষের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়াটা মানা যায় না।
তবে পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। স্থানীয়দের মধ্যে একটি অংশও শান্তি বজায় রাখতে এগিয়ে আসেন। তাঁরাই সবাইকে শান্ত হতে বলেন। পরে এলাকা থেকে ট্রাকটি সরিয়ে নেয় পুলিশ। উত্তেজিত এক যুবককেও এলাকা থেকে পুলিশ সরিয়ে নিয়ে যায়।
এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছি। কোনও সমস্যা হলে পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’