পুরসভায় হট্টগোলের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কাগজ ছোড়াছুড়ি, বোর্ড মিটিংয়ে হট্টগোল অতীতেও হয়েছে। মেয়রের ঘরের সামনে রাতভর অবস্থানও হয়েছে। কিন্তু শনিবারের ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মী আধিকারিকরা সকলেই হতবাক।
এ দিন সভায় ঘটনার পর প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে মত দেওয়া নিয়ে সভা কিছুক্ষণ চলে। পরে বিরোধীরা স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যান। মেয়র সাংবাদিক বৈঠক করেন। এর পর পর্যায়ক্রমে মেয়র, বিরোধী দলনেতা ও কাউন্সিলর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় সকলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
কাউন্সিলরদের একাংশ মনে করছেন উন্নয়ন নিয়ে মতানৈক্য, দাবি আদায় করা নিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই পারে। সভায় জনপ্রতিনিধিরা কাউকে কিছু ছুড়ে মারবে এটা কাম্য নয়। তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ পালের পাল্টা অভিযোগ, গোলমালের সময় জলের বোতল ছুড়ে মারেন বাম কাউন্সিলররা। সেই বোতল তাঁদের গায়ে লেগেছে।
কংগ্রেসের পুরকর্মী সংগঠনের সভাপতি অলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধিদের মানুষ নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেন তাঁদের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরতে। তাঁরা এমন কিছু আচারণ করবেন না যাতে মানুষের সন্দেহ হয়। প্রত্যেককেই আরও বেশি সহিষ্ণু হতে হবে।’’
গোলমাল শুরু হতেই এ দিন কংগ্রেসের চার কাউন্সিলর এবং বিজেপি কাউন্সিলররা সভা ছেড়ে চলে যান। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সুজয় ঘটক পরে হাসপাতালে গিয়ে অশোকবাবু, রঞ্জনবাবু ও নান্টুবাবুকে হাসপাতালে দেখে আসেন।