ফাইল চিত্র।
ভাগাড় থেকে মৃত পশুর মাংস হোটেলে সরবরাহ করার চক্র ফাঁস হয়েছে কলকাতায়। আর তার জেরেই নড়েচড়ে বসেছে শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। কলকাতার ঘটনার পরেই সমস্ত পুরসভাগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে যাতে কোনও ভাবেই কেউ মৃত পশুর দেহ বাইরে নিয়ে যেতে না পারে তা দেখতে বলা হয়েছে। এমনকী ভাগাড়ে কোনও পশুর মৃতদের ফেলা হলে, দ্রুত তা ভাগাড়ের কোনও এক জায়গায় মাটিতে পুঁতে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
নজরদারি শুরু হয়েছে শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডেও। খুব ভোরে বা রাতের অন্ধকারে ভাগাড়ে যাতে বাইরের কোনও লোক ঘেরাফেরা না করে বা সেখান থেকে পশুর দেহ নিতে না পারে তার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে ভাগাড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথাও ভাবছে পুর কর্তৃপক্ষ।
শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে বলা হয়েছে, সুযোগ থাকলে ওয়ার্ডের কোনও জায়গাতেই মৃত পশুর দেহ পুঁতে ফেলতে হবে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ মেলার পরেই আমাদের তরফে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশুর মৃতদেহ যাতে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে না যায় তা দেখতে বলা হয়েছে। বর্জ্যের সঙ্গে চলে গেলেও সেখানে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হবে।’’ তবে বিষয়টি দেখভালের জন্য পুরসভায় কর্মী কম থাকার কথাও জানান তিনি। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের তরফেই বিষয়টি দেখা দরকার বলেও তাঁর মত। আপাতত পুরসভার স্যানিটরি ইন্সপেক্টর গণেশ ভট্টাচার্যকে বিষয়টি তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকায় সন্ধ্যার পরে অনেকেই ঘোরাফেরা করে। সেখানে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের জানানো হয়েছে সব সময় নজরদারি চালাতে। ওয়ার্ড মাস্টাররা ওয়ার্ডগুলোতে সাফাইয়ের বিষয়টি তদারকি করেন। ওয়ার্ডে মৃত পশুর দেহ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যাতে না পাঠানো হয় তা দেখতে বলা হয়েছে তাঁদের। যদিও ওয়ার্ড মাস্টারদের কয়েকজন জানান, শহর এলাকায় পশুর দেহ মাটিতে পোঁতার জায়গা কম। ভাগাড়ে সেই ব্যবস্থা থাকলে সুবিধা হয়।