বার্তা: এ ভাবেই দেওয়া হত ট্রাফিকের তথ্য। নিজস্ব চিত্র
শহরে কোথায়, কখন মিছিল হবে। বা কবে কোথায় শহরের কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে। এসব জানতে শহরবাসী ভরসা করতেন ফেসবুকের উপর। শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ফেসবুকে। শহরের ট্রাফিক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে সেখানে চোখ রাখতেন বাসিন্দারা। রাস্তাঘাটের কোনও সমস্যা হলে প্রশ্ন করা যেত পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের। তার সমাধানও মিলত।
নিত্যদিন তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়ছেন শহরবাসী। কাজে বেরিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় আটকে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এদিকে বেশ কয়েক মাস যাবৎ চালু নেই সেই অ্যাকাউন্ট। ফলে শহরের ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনও তথ্যই আর পাচ্ছেন না শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দারা। নিত্য ভোগান্তি এড়াতে এখন সেটি চালু করার দাবি জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) থাকাকালীন সুনীল কুমার যাদব ‘শিলিগুড়ি ট্রাফিক’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি খুলেছিলেন। জনসংযোগ বাড়াতে ওই প্রয়াস অনেকটাই সফল বলে দাবি পুলিশ কর্তাদের একাংশ। যদিও তাঁরাই জানিয়েছেন, ২০১৭-র ১ জুনের পরে ওই অ্যাকাউন্টে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এখন শহরের ডিসি (ট্রাফিক) গৌরব লাল। তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিতে হবে। তারপরে প্রয়োজন অনুসারে আমরা সেটাকে ব্যবহার করতে পারব।"
২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে খোলা ওই অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ট্রাফিকের তথ্য দেওয়া হত। তৎকালীন ডিসি (ট্রাফিক) নিজে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতেন। ট্রাফিক সচেতনতামূলক নানা প্রচারও হত। এখন সেটি কেন বন্ধ তা নিয়ে পুলিশ কর্তারা বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। দার্জিলিং জেলা লিগ্যাল এইড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার বলেন, ‘‘শহরবাসীদের স্বার্থে অ্যাকাউন্টটি পুনরায় সক্রিয় করুক পুলিশ।’’ শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক রতন বণিকের বক্তব্য, ‘‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই নির্ভয়ে সবটা বলতে পারেন। বহুক্ষেত্রে লিখিতভাবে বলা সম্ভব হয় না।’’ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকলে শহরের যানজট মোকাবিলাও সহজ হবে বলে তাঁর ধারণা।