পাশাপাশি: সীতারাম ইয়েচুরি ও অশোক ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিং পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক সম্ভব না হলে সমস্ত পক্ষকে নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসে সমস্যা মেটানো দরকার বলে মনে করেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির মিত্র সম্মিলনী হলে রতনলাল ব্রাক্ষ্মণ স্মারক বৃক্ততায় যোগ দেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। সেখানে দেশের রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার সঙ্গে পাহাড় পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘গত অগস্ট মাসে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। ওঁকে সমস্যার সমাধানে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা বলি। পরে কেন্দ্র রাজ্যকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রাজ্য তাতে রাজি নয় বলে শুনেছি। কিন্তু এ ভাবে তো চলতে পারে না। সবাইকে নিয়ে বসে সমস্যা মেটানো জরুরি।’’
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘পাহাড়ের সমস্যা রাজনৈতিকের থেকে বেশি মানবিক আকার নিচ্ছে। চার মাসের উপর সমস্যা চলেছে। এক সময় ভোগান্তি চরমে গিয়েছিল। এখনও স্বাভাবিক নয়। এক পক্ষের সঙ্গে আরেক পক্ষকে লড়িয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে। এটা সুস্থ লক্ষণ নয়।’’
রাজ্য সরকার ইউএপিএ মামলায় অভিযুক্ত বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যেতে রাজি নয়, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে। তাহলে সবপক্ষকে নিয়ে কীভাবে বসা সম্ভব-এই প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেন, ‘‘এমন আন্দোলন হলে নানা ধরনের সমস্যা, পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে সম্মত হয়ে বৈঠকের প্রস্তুতি নিলে সমাধানের দরজা খুলবে।’’
এ দিন রতনলাল ব্রাক্ষণ স্মারক বৃক্ততায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নোটবন্দি থেকে জিএসটি, শীতকালীন সংসদ অধিবেশন গুজরাত নির্বাচনের জন্য পিছিয়ে রাখার মত নানা অভিযোগ করেন ইয়েচুরি। শহরের মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারও একই সুরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। পরে অশোকবাবুরা জানান, এই সভা ও থাকার জায়গা নিয়েও রাজ্য সরকার রাজনীতি করেছে। মেয়র বলেন, ‘‘আমরা দীনবন্ধু মঞ্চ জন্য চেয়েছিলাম। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকেও আবেদন করি। কিন্তু না করে দেওয়া হয়। এক রাত থাকার জন্য পূর্ত দফতরের বাংলোয় একটি ঘর চাওয়া হয়। আসন্ন মুখ্যমন্ত্রীর সফরের কথা বলে তাও দেওয়া হয়নি। পরে আমরা তাঁর জন্য হোটেলে ব্যবস্থা করেছি।
যে দিন দীনবন্ধু মঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ বা ভাষণের জন্য মঞ্চ ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকদিন আগেই হয়েছে। শাসক দলকেও তা দেওয়া হয় না। আর পূর্ত দফতরের দাবি, আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য নিরাপত্তারক্ষী ও অফিসারেরা অনেকে এসে গিয়েছেন। তাঁরা থাকায় ওই বাংলোয় জায়গা মেলেনি।