ছাঙ্গুতে তুষারপাত, দার্জিলিং ৬ ডিগ্রিতে

পূর্বাভাস ছিলই। সেই মতো বুধবার সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গনেই হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার। সৌজন্য পশ্চিমী ঝঞ্ঝার। তার প্রভাবে তুষারপাত শুরু হয়েছে সিকিমের ছাঙ্গু লেক, নাথুলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১০
Share:

ফাইল চিত্র।

পূর্বাভাস ছিলই। সেই মতো বুধবার সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গনেই হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার। সৌজন্য পশ্চিমী ঝঞ্ঝার। তার প্রভাবে তুষারপাত শুরু হয়েছে সিকিমের ছাঙ্গু লেক, নাথুলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালেও তুষারপাত চলেছে। ছাঙ্গুর পথ ঢেকে গিয়েছে বরফের চাদরে। নাথুলারও একই অবস্থা। বরফ পড়ার দৃশ্য দেখতে পর্যটকরা যেতে চাইলেও রাস্তা বরফে ঢেকে আরও বিপসঙ্কুল হয়েছে। তাই বাছাই করা কয়েকটি গাড়িও সেনা পাহারায় যাতায়াত করছে। ফলে, সাধারণ পর্যটকেরা বরফ পড়ার সময়ে তা গায়ে মেখে নেওয়ার সুযোগ পাননি। দার্জিলিঙের তাপমাত্রাও সর্বনিম্ন হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement

সারা দিনের সূর্যের দেখা মেলেনি সেখানেও। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের সিকিম শাখার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাঙ্গু-নাথুলায় তাপমাত্রা শূন্যের নীচে নেমেছে। গ্যাংটকের তাপমাত্রাও ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নেমেছে। বৃহস্পতিবারও গ্যাংটকে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। সিকিম পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, যে সীমান্ত এলাকায় বরফে রাস্তা ঢেকেছে সেখানে যাতায়াতে কড়াকড়ি করছে সেনাবাহিনীও। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রের সিকিমের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘হালকা বৃষ্টি আরও অন্তত দু’দিন চলবে বলে মনে হচ্ছে। ঝঞ্ঝার উপস্থিতির জন্যই তুষারপাত হচ্ছে। ঠান্ডা আরও জাঁকিয়ে পড়বে।’’ ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল জানান, সিকিমে তুষারপাত হলেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাড়তি কড়াকড়ি থাকায় ইচ্ছুক পর্যটকেরা সকলে তা উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘সিকিমের ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উৎসাহী পর্যটকদের কী ভাবে ছাঙ্গু-নাথুলায় নেওয়া যায় সেই চেষ্টা হচ্ছে।’’

পাহাড়ের আকাশে ঝঞ্ঝার উপস্থিতির রেশ পড়েছে সমতল শিলিগুড়ি ও লাগোয়া জলপাইগুড়িতেও। ভোরের দিকে সুকনা থেকে চম্পাসারি, ইস্টার্ন বাইপাস, এনজেপি, ফুলবাড়ি এলাকায় কুয়াশার চাদরের আড়ালে চলে গিয়েছিল রাস্তাঘাট।

Advertisement

শিলিগুড়িতে সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। বিকেল ৪টে বাজতেই সন্ধ্যার পরিবেশ শহরে। গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছেপিঠেই ছিল। কিন্তু, এদিন তা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ওঠেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন