Congress

মালদহে কংগ্রেসে যোগ কয়েক জন নেতার, টিকিট না পাওয়ার ভয়েই দলত্যাগ, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

দলত্যাগী নেতাদের দাবি, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন দলের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো দল চালাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৭
Share:

মালদহে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ। — নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন মালদহের ব্লক স্তরের কয়েক জন নেতাকর্মী। মালদহের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দল ছাঁড়েন তাঁরা। এতে মালদহে কংগ্রেসের শক্তি আরও বাড়ল বলে দাবি জেলা সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী। দলবদলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাবে না বুঝেই দলত্যাগ, পাল্টা কটাক্ষ সাবিনার।

Advertisement

শনিবার মোথাবাড়িতে যোগদান কর্মসূচি ছিল। উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী, প্রদেশ নেতা কৌস্তুভ বাগচী-সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই সভায় তৃণমূলের দুই প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সুধীরকুমার দাস, মির জেনাতুল আলি, ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান, মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুলেখা বিবি-সহ বেশ কয়েক জন ব্লক স্তরের নেতা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন। যোগদান সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সুধীর বলেন, ‘‘সাবিনা ইয়াসমিন বেইমান, মিথ্যাবাদী। তাঁর জন্য আমরা পার্টি ছাড়তে বাধ্য হলাম। এই চোর কমিটিকে যত ক্ষণ উৎখাত না করব, সাবিনা ইয়াসমিনকে মোথাবাড়ি ছাড়া না করব, তত দিন ঘুমাব না।’’

কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘পুরনো তৃণমূল কর্মীদের বার করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। চক্রান্ত করছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন মন্ত্রী। কালিয়াচকের একটা হার্ডওয়ারের দোকান থেকে মোথাবাড়ি তৃণমূল পরিচালিত হচ্ছে।’’ এ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম বলেন, ‘‘এই যোগদানের ফলে মালদায় কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হবে।’’

Advertisement

যদিও এই যোগদান কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মোথাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘‘কে কাকে উৎখাত করবে এটা মানুষ বলবে। ওঁরা আমাকে বিরক্ত করার পণ নিয়েছিলেন। টিকিট পাবেন না তাই দলত্যাগ করছেন।’’

এ বিষয়ে দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘‘এখন আর কেউ তৃণমূল করতে চাইছে না। তৃণমূলের পুরনো নেতা, কর্মীরা দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। অন্য দল থেকে আসা লোকেরা দলটার দখল নিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন