তৃণমূল নেত্রীর ছেলে গ্রেফতার

এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই কর্মাধ্যক্ষ চৈতী বড়ুয়া অবশ্য তাঁর ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র আছে। আমার ছেলে এই ধরনের ঘটনায় থাকতে পারে না, এটা মা হিসেবে আমি গর্ব করে বলতে পারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৪০
Share:

পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভিনরাজ্যের দুই বাসিন্দাকে অপহরণ করে তাদের গাড়ি চুরি, ছিনতাইয়ের অভিযোগে তৃণমূল নেত্রী কোচবিহার জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষের ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার পুলিশ হাজরাপাড়া থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম নীহার বড়ুয়া। শহর সংলগ্ন বাবুরহাটে ট্রাক্টরের একটি কোম্পানির শোরুম রয়েছে নীহারবাবুর নামে। আরও তিন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন ধৃতকে কোচবিহার আদালতে তোলা হলে তাকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল, “তদন্ত চলছে। বাকি তিন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই কর্মাধ্যক্ষ চৈতী বড়ুয়া অবশ্য তাঁর ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র আছে। আমার ছেলে এই ধরনের ঘটনায় থাকতে পারে না, এটা মা হিসেবে আমি গর্ব করে বলতে পারি। আদালতেই সব প্রমাণ হবে।” তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ জানিয়ে দেন, এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। তিনি বলেন, “ধৃত ব্যক্তি দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। তাঁর মা দল করেন। আইন আইনের পথে চলবে।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ১৩ অগস্ট কলকাতা থেকে দু’টি ছোট গাড়িতে চেপে কোচবিহার হয়ে মণিপুরে ফিরছিলেন ইম্ফলের দুই বাসিন্দা শচীমোহন সিংহ ও জ্যাকিচাঁদ সিংহ। সে সময় বন্যার জন্য ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ডাউয়াগুড়িতে গাড়ি নিয়ে দাঁড়াতে হয়। ওই সময় দু’টি গাড়িতে নীহার-সহ চার যুবক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁদের গাড়ি চোরাই বলে দাবি করেন। ভয় দেখিয়ে তাঁদের গাড়িতে দু’জনকে তুলে নেন। গাড়ি দু’টি নিয়ে কোচবিহারে এসে তাঁদের কাছে দু’লক্ষ টাকা দাবি করেন। সাগরদিঘি পাড়ের একটি এটিএম থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে অভিযুক্তদের হাতে দেন জ্যাকিচাঁদ। এর পরেই পুলিশ লাইন মোড়ে সুযোগ বুঝে গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন তাঁরা। জখম অবস্থায় তাঁদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের গাড়ির পিছনে তাড়া করেও পায়নি। ১৫ অগস্ট অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তদের দু’টি গাড়ির একটি নীহারের। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন