Bihar

দু’রাজ্যের সমন্বয়ের অভাবে কি মৃত্যু পুলিশের

Advertisement

মেহেদি হেদায়েতুল্লা

পাঞ্জিপাড়া শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১ ০৬:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুষ্কৃতী পাকড়াও করতে এসে গণপিটুনিতে বিহার পুলিশের এক ইন্সপেক্টরের মৃত্যুর ঘটনায় বিহার-বাংলা পুলিশের সমন্বয়ের অভাবের চিত্রই সামনে উঠে এসেছে। শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ার পান্তাপাড়ায় এক মোটরবাইক চোরকে ধরতে এসে দুষ্কৃতীদের হামলায় কিসানগঞ্জ পুলিশের এক ইন্সপেক্টর অশ্বিনী কুমারের (৫০)মৃত্যু ঘিরে বাংলা-বিহার পুলিশের চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে দুই রাজ্যের পুলিশই। তবে ওই ঘটনাকে ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, কিসানগঞ্জের ছাগলিয়াতে একটি বাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার নাম জড়িয়ে পড়ে পাঞ্জিপাড়ার পান্তাপাড়ার এক দুষ্কৃতীর। অশ্বিনী-সহ একটি দল গ্রামে হানা দেয়। রাত তখন দেড়টা। আচমকা হানা দেওয়ার খবরে দুষ্কৃতীরা রটিয়ে দেয়, ডাকাত এসেছে। গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশকে ঘিরে ফেলে, চলে হামলা। বাকি পুলিশরা পালাতে সক্ষম হলে গ্রামে আটকে যান অশ্বিনী।

বিহার পুলিশের দলের দাবি, অভিযানে দুই অফিসার-সহ মোট ৯ জন পুলিশ ছিল। তাহলে বাকিরা ফেলে এল কেন, উঠেছে সে প্রশ্ন। এ ছাড়াও প্রশ্ন উঠেছে, বিহার পুলিশের অভিযানের খবর কি ইসলামপুরের পুলিশের কাছে ছিল না? কিসানগঞ্জের পুলিশের এক কর্তার দাবি, অভিযান সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। কিন্ত ইসলামপুর পুলিশ এ বিষয়ে কোনও সহযোগিতা করেনি। ইসলামপুরের পুলিশ কর্তাদের পাল্টা দাবি, এমন ঘটনা জানা থাকলে এত বড় ঘটনা ঘটত না। অভিযান সম্পর্কে বিহার পুলিশ কিছুই জানায়নি।

Advertisement

ইসলামপুর পুলিশ কর্তাদের যুক্তি, নিয়মে রয়েছে, ভিন্ রাজ্যের কোনও দুষ্কৃতীকে ধরতে অভিযানে গেলে সেই রাজ্যের পুলিশের কর্তাদের জানাতে হবে। কিন্ত এই ঘটনায় সেই নিয়ম মানা হয়নি। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এক বাইক চোরকে ধরতে এত রাতে কেন অভিযান? নাকি অন্য খবর ছিল বিহার পুলিশের কাছে। কেন পুলিশ আধিকারিককে আটকে রাখার পর অন্য পুলিশরা সেখান থেকে পালিয়ে গেল? যদিও বিহার পুলিশের কর্তাদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রে লিখিত চিঠি দিয়ে জানানো সম্ভব হয় না। এ দিনের অভিযানের বিষয়ে সংলিষ্ট থানার আধিকারিককে ফোনে জানানো হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে বিহারের পূর্ণিয়ার আই জি সুরেশ প্রসাদ জানান, সবটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একই বক্তব্য ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার সচিন মক্কারেরও। তবে দুই রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের অনেকেই মানছেন, সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব ছিল। উত্তর দিনাজপুরে ভোট ২২ এপ্রিল ভোট। ভোটের মুখে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সীমানাবর্তী এলাকাগুলোয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন