raiganj

‘পুকুর চুরি’র অভিযোগ মন্ত্রী-পত্নীর বিরুদ্ধে, রায়গঞ্জে বিক্ষোভের মুখে ব্লক আধিকারিকেরা

একশো দিনের প্রকল্পে ২১টি পুকুর খননের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল মন্ত্রী-পত্নীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৩ ১৭:৩০
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

আক্ষরিক অর্থেই ‘পুকুর চুরি’র অভিযোগ! একশো দিনের প্রকল্পে ২১টি পুকুর খননের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল মন্ত্রী-পত্নীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে গাড়ি ফেলে রেখেই এলাকা ছাড়েন সরকারি আধিকারিকেরা।

Advertisement

গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণের স্ত্রী জ্যোৎস্না বর্মণ জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। তিনিই পুকুর খননের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দাবি, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ২১টি পুকুর খননের হিসাব দেখানো হলেও একটি পুকুরও খনন করা হয়নি। গ্রামবাসী তৈমুর হক বলেন, ‘‘জ্যোৎস্না বর্মণ খাড়ি সরিয়াবাদ মৌজা-সহ বেশ কিছু এলাকায় একশো দিনের প্রকল্পে ২১টি পুকুর খননের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’’ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা আসগর আলি।

এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সত্যজিৎ। তিনি বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ২১টা পুকুরের ২১টাই রয়েছে। যে অঞ্চলে এই পুকুরগুলো কাটা হয়েছিল, সেটা নদী তীরবর্তী এবং সেখানে প্রতি বছরই বন্যা হয়। বন্যার ফলে বালি-মাটি ঢুকে গিয়ে পুকুরের আয়তন কিছুটা কমেছে। বিরোধীরা এটাকে নিয়েই রাজনীতি করছে। বিরোধীরা আমার এবং আমার স্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই বারবার এই অভিযোগ তুলছে।’’

Advertisement

উচ্চ আদালতের নির্দেশেই রবিবার সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছিলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। অভিযোগ, এলাকায় যেতেই গ্রামবাসীরা তাঁদের গাড়ি আটকে দেন। সেই সময় গাড়ি ফেলে রেখে চলে যান সরকারি আধিকারিকেরা। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ‘মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ’রা তাঁদের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঠিক জায়গায় না নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় তদন্ত করাচ্ছিলেন। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে। পাল্টা সত্যজিতের বক্তব্য, ‘‘সরকারি আধিকারিকেরা সঠিক জায়গাতেই গিয়েছিলেন। তদন্ত সঠিক পথেই হচ্ছে। বিরোধীরা শুধু শুধু এই বিষয়টা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।’’

গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, সরকারি আধিকারিকদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা ঠিক জায়গাতেই তদন্ত করছিলাম। গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ কেন দেখালেন, তা জানা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন