মেলার মেজাজে রবিবারের মিগদর্শন

যন্ত্র দিয়ে মাটি খুঁড়ে তোলা হচ্ছে ভেঙে পড়া মিগ ২৭ বিমানের ধ্বংসাবশেষ। রবিবার সকালে দক্ষিণ চ্যাংপাড়া এলাকায় দূর থেকে দাঁড়িয়ে বায়ুসেনার কর্মী ও আধিকারিকদের বিমানের টুকরো মাটির তলা থেকে সংগ্রহ করতে দেখলেন এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ—সকলেই। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন চাপড়ের পাড় ১ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চ্যাংপাড়া এলাকায় ভেঙে পড়ে মিগ বিমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৫ ০২:৪৪
Share:

মাটি খুঁড়ে বিমানের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হচ্ছে। রবিবার ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।

যন্ত্র দিয়ে মাটি খুঁড়ে তোলা হচ্ছে ভেঙে পড়া মিগ ২৭ বিমানের ধ্বংসাবশেষ। রবিবার সকালে দক্ষিণ চ্যাংপাড়া এলাকায় দূর থেকে দাঁড়িয়ে বায়ুসেনার কর্মী ও আধিকারিকদের বিমানের টুকরো মাটির তলা থেকে সংগ্রহ করতে দেখলেন এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ—সকলেই। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন চাপড়ের পাড় ১ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চ্যাংপাড়া এলাকায় ভেঙে পড়ে মিগ বিমান। ঘটনা দু’দিন কেটে গেলেও উৎসাহী মানুষের ভিড় এখনও কমেনি। তবে বিমানের ভিতরে থাকা ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল কার্যত মেলার চেহারা। ঘুগনি থেকে শুরু করে আইসক্রিম, ফুচকা, আখের রস-সহ নানা ধরনের খাবার দোকান নিয়ে হাজির হয়েছেন ২৫-৩০ জন ব্যবসায়ী। দক্ষিণ চ্যাংপাড়া এলাকায় প্রচুর মানুষ এসেছেনয় কেউ সাইকেলে চেপে কেউ আবার অটো, টোটো ভাড়া করেও ভেঙে পড়া বিমান দেখতে এসেছেন। রবিবার সকাল থেকে বায়ুসেনা যন্ত্র লাগিয়ে মাটির তলায় প্রায় ২০-২২ ফুট গর্ত করে মাটি তুলে আনছে। তা ঘেঁটে উদ্ধার করা হচ্ছে বিমানের নানা অংশ। তা দিনভর দেখেছেন উৎসাহী লোকজন।

এলাকার সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য অশিস কুমার রায় সরকার বলেন, “আমরা মাইকে প্রচার করেছি। অনেকেই ভাঙা টুকরো পেয়েছিলেন। তা আমাদের দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বায়ুসেনাকে দিচ্ছি।” নাটাবাড়ির সত্যজিৎ দেবনাথ, প্রলয় রায়রা সাইকেলে এসেছিলেন। ভাটিবাড়ি থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বিমান দেখতে এসেছেন রতন দাস। সকলেই উৎসুক হয়ে বিমানের ভেঙে পড়া টুকরো দেখার ফাঁকে নানা খাবার কিনে ছুটির দিনটা বেশ উপভোগ করলেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন