ঝড়ে পড়ল গাছ উড়ে গেল চাল

বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলে শহরে। আগামী ৩০ মার্চও একইরকম ঝড়বৃষ্টির ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এ দিন ঝড়বৃষ্টির পরে অনেকটাই নেমে আসে দিনের তাপমাত্রা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:২৩
Share:

রাস্তাজুড়ে: ঝড়ের দাপটে উপড়ে পড়েছে গাছ। ছিঁড়েছে তারও। শিলিগুড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। মঙ্গলবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ঝড়-বৃষ্টিতে অচল হয়ে গেল শিলিগুড়ি। মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপর উপড়ে পড়ে গাছ। টিনের চাল উড়ে যায় কয়েকটি বাড়ির। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলে শহরে। আগামী ৩০ মার্চও একইরকম ঝড়বৃষ্টির ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এ দিন ঝড়বৃষ্টির পরে অনেকটাই নেমে আসে দিনের তাপমাত্রা।

Advertisement

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘রাজ্যের উত্তর অংশে বাতাসের উপরিভাগে ঘূর্ণাবর্ত এবং তার সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার মিলিত প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে ঘূর্ণাবর্ত পূর্বের দিকে সরে যাচ্ছে এবং তার শক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ছে।’’ ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পুরোপুরি কেটে গেলেই আবার উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে জানানো হয়েছে। তবে আগামী শনিবার এরকমই একটি ঘূর্ণাবর্তের দাপট হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এ দিন সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের অন্য এলাকার মতো শিলিগুড়িতেও বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। তার জেরে শহরের একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। স্টেশন ফিডার রোডের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বড় গাছ ভেঙে পড়লে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খুঁটি হেলে পড়ে। তার জেরে ঝড় বৃষ্টি থামার পরেও বেশ কিছুক্ষণ ট্রাফিক বন্ধ থাকে ওই রাস্তায়। বেলা দুটো নাগাদ বৈদুতিক করাত দিয়ে গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়।

Advertisement

মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শহরের অনেকগুলো জায়গায় গাছ পড়ে বিভ্রাট শুরু হয়েছে। যে কটি এলাকা থেকে খবর পেয়েছি, লোক পাঠিয়েছি।’’ মন্ত্রী গৌতম দেবের পাড়াতেও উল্টে পড়ে একটি বড় গাছ। সেটিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই সরানো হয়। সুকনা, তিনধারিয়া বাবুপাড়া-সহ একাধিক এলাকায় গাছ ভেঙে পড়েছে। আশিঘর এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন একজন। তবে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মহানন্দা নদী লাগোয়া বেশ কিছু এলাকায় টিনের বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুং বস্তি এলাকায় দু’টি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ১ নম্বর বরো চেয়ারম্যান স্নিগ্ধা হাজরা জানান, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডেও তিনটি গাছ পড়ে গিয়েছে। তার জন্য দু’টি বিদ্যুতের খুঁটিও উল্টে যায়। ফাঁসিদেওয়া বিডিও অফিসের ট্রান্সফারমার খারাপ হওয়ায় অনেক কাজ আটকে পড়ছে বলে জানিয়েছেন বিডিও সঞ্জিত মজুমদার। নকশালবাড়ি এবং মাটিগাড়া ব্লকেও বেশ কিছু এলাকায় ঘর ভেঙেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন