রাজবাড়ির ফটক নিয়ে নিয়ম কড়া

কোচবিহার রাজবাড়ির সিংহদুয়ারের প্রধান ফটক যথেচ্ছভাবে খোলার প্রবণতা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ। শুধুমাত্র ‘ভিভিআইপি’দের সফর বা যাতায়াতের প্রয়োজন ছাড়া ওই ফটক খোলা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৮
Share:

কোচবিহার রাজবাড়ির সিংহদুয়ারের প্রধান ফটক যথেচ্ছভাবে খোলার প্রবণতা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ। শুধুমাত্র ‘ভিভিআইপি’দের সফর বা যাতায়াতের প্রয়োজন ছাড়া ওই ফটক খোলা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করা হল। ৩০ জানুয়ারি পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সুপারিনন্টেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট গৌতম হালদারের স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকা সম্প্রতি কোচবিহার রাজবাড়ি কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। ওই নির্দেশিকার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজবাড়িতে কর্মরত পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের এক আধিকারিক ও দুই কর্মীকে। রাজবাড়ির কর্মীদের একাংশ সাফ জানিয়েছেন, ওই নির্দেশিকা জরুরি ছিল।

Advertisement

প্রাসাদে যাতায়াতে নজরকাড়া সিংহদুয়ারটি রাজ আমলে মূলত খোলা হত মহারাজাদের যাতায়াতের জন্য। অতিথি রাজা, উচ্চপদস্থ কর্তাদের যানবাহনও যাতে সরাসরি প্রাসাদের কাছে পৌঁছতে পারে সেজন্যও ফটক খোলার রেওয়াজ ছিল। ইদানীং শতাব্দী প্রাচীন সিংহদুয়ারের ফটক যথেচ্ছ ভাবে খোলায় দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগে ফটকের লোহার আস্তরণ খুলে পড়েছিল। ২২ জানুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন সর্বেক্ষণের কর্তারা। রাজবাড়ির এক কর্তার কাছে পুরো বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান হয়। ওই ঘটনার সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই ফটক খোলা নিয়ে কলকাতা সার্কেলের তরফে ওই নির্দেশিকা জারি করা হল। কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “রাজবাড়ির ওই সিংহদুয়ারের নিয়ন্ত্রিতভাবে খোলা, রক্ষণাবেক্ষনের ব্যাপারে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিলাম। বাস্তবেও যাতে নির্দেশিকা মানা হয় তা নিশ্চিত করা দরকার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement