লিচু দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠলো পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানার নাজিরপুরের নিরাঞ্জনপুর গ্রামে।
সোমবার রাতে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর মা মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ঘটনায় এখনও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক কাপড়ের দোকানে কাজ করে। ওই গ্রামেই বাড়ি। মালদহের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, ‘‘মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচকের নাজিরপুরেরই একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ওই ছাত্রী। বাবা পেশায় দিন মজুর। মা-ও শ্রমিকের কাজ করেন। দুই ভাই বোনদের মধ্যে ছাত্রীটিই বড়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে গ্রামের লিচু বাগানে ঘুরতে গিয়েছিল মেয়েটি। সেই সময় গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক তাকে লিচু দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। তারপরেই তাকে একটি ঝোপের কাছে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মেয়েটি চিৎকার করলে লাঠি দিয়ে মারধরও করা হয়। মেয়েটির ডান হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। ঘটনাটি পরিবারের কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। তাই মেয়েটি বাড়িতে ফিরে ধর্ষণের কথা জানায়নি। পড়ে গিয়ে হাতে আঘাত লাগে বলে বাড়িতে জানিয়েছিল। পরিবারের লোকেরা মানিকচক গ্রামীণ হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসাও করায়। অবশেষে গত রবিবার রাতে মেয়েটি তার মাকে পুরো বিষয়টি জানায়।