ভেঙে রয়েছে শৌচাগার তদন্তের দাবি তুলল স্কুল

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে ওই স্কুলে। শহরের তিনটি স্কুলের পডুয়ারা পরীক্ষা দিচ্ছে। তাঁদেরই একাংশ এমন ঘটিয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। গত বছরও এমন হয়েছিল বলে দাবি তাঁদের। স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা কড়া ভাবে পরিচালনা করাতেই আক্রোশের বশে পরীক্ষার্থীদের একাংশ ভাঙচুর চালিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০৭:২১
Share:

ভাঙা: স্কুলের শৌচাগা

স্কুলের শৌচালয়ে ছড়িয়ে রয়েছে নকল লেখা রাশি রাশি কাগজ। শৌচাগারের প্লাস্টিকের চারটি কলের মুখ ভাঙা। পাইপ দিয়ে নাগাড়ে জল বেরিয়ে স্কুলের মাঠ ভরে গিয়েছএ জলে। জলপাইগুড়ি সোনাউল্লা স্কুলে শুক্রবার এমনটাই দেখা গিয়েছে বলে জানালেন শিক্ষকেরা।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে ওই স্কুলে। শহরের তিনটি স্কুলের পডুয়ারা পরীক্ষা দিচ্ছে। তাঁদেরই একাংশ এমন ঘটিয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। গত বছরও এমন হয়েছিল বলে দাবি তাঁদের। স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা কড়া ভাবে পরিচালনা করাতেই আক্রোশের বশে পরীক্ষার্থীদের একাংশ ভাঙচুর চালিয়েছে।

যে শৌচালয়ে ভাঙচুর হয়েছে সেটি স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের। টিনের দরজা দেওয়া শৌচালয়টি গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরুর সময়ে তালাবন্ধই ছিল। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও সময়ে সেই দরজা ভাঙা হয়েছে বলেও শিক্ষকদের অভিযোগ। পুরো ঘটনার তদন্তের দাবিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

সোনাউল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ডালিম রায় বলেন, ‘‘গত তিন বছর ধরে একই ঘটনা ঘটছে শৌচাগারে। সকালে এসে দেখলাম শৌচাগারের দরজা ভেঙে পড়ে রয়েছে। কলের মুখগুলো সবক’টি ভেঙে ফেলা হয়েছে। মাধ্যমিকের সময় নজরে রেখেছিলাম। উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটল। পাইপ ভেঙে ফেলেছে।’’

শহরের যে তিনটি স্কুলের পড়ুয়ারার সোনাউল্লায় পরীক্ষা দিচ্ছে সেই স্কুলগুলোর তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। একটি স্কুলের শিক্ষকের বক্তব্য, “আমাদের পড়ুয়ারা যে এমন করেছে তা কি করে বুঝব। সুতরাং এ বিষয়ে কিছু বলব না।”

গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষের পরেই স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষকরাও ফিরে যান। সে সময় কেউ কিছু টের পায়নি বলে দাবি। সারা রাত ভাঙা কলের মুখ দিয়ে জল গড়িয়ে স্কুলের মাঠে জমে যায়। সোনাউল্লা হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘প্রাথমিক স্কুলের শৌচাগার ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।’’

জলপাইগুড়িতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অমিত সাহা বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই ধরনের বিষয় কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।" জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি। তিনি বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে আশাকরি।“

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন