শাস্তি চেয়ে বিভাগে ঝুলল তালা

উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ছাত্রীদের হেনস্থার বিষয়টি ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটিতে পাঠাতে হবে। সেই মতো তাদের সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১১
Share:

বিক্ষোভ: বন্ধ রয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে অভিযোগ তুলে ওই বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবার বেলা ১০ টা থেকে ওই বিভাগের দরজায় তালা দিয়ে দেয় পড়ুয়ারা। যথাযথ ব্যবস্থা না-নেওয়া পর্যন্ত ওই বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে তারা জানিয়ে দেন।

Advertisement

পড়ুয়াদের একাংশ জানান, চুক্তি ভিত্তিতে নেওয়া অভিযুক্ত শিক্ষক দিলীপ রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত নভেম্বর মাসে অভিযোগ জানানো হয়, তিনি ভাল নম্বর দেওয়ার টোপ দিয়ে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেন। এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগও করেছেন। কথা না-শুনলে পরীক্ষার নম্বর পেতে সমস্যা হবে বলে হুমকিও দিতেন। সে কারণে খাতা পূনর্মূল্যায়নের দাবিও ওঠে। একাধিকবার জানানোর পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না দেখে ২২ মার্চ থেকে বিভাগের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ক্লাস বয়কট করে আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। তাতেও কিছু হচ্ছে না দেখে দলমত নির্বিশেষে পড়ুয়ারা ২৮ মার্চ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড ঘেরাও করে বিভিন্ন বিভাগ খুলতে বাধা দেয়। বেলা ১২টা পর্যন্ত সমস্ত বিভাগের কাজকর্ম আটকে পড়ে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শেখ আতাহার আলি, মইনুল হাসানরা জানান, তারপরে এখন বলা হচ্ছে আগামী ৬ এপ্রিল ছাত্রীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে কমিটি রিপোর্ট দেবে। ১১ এপ্রিল কর্ম সমিতিতে সিদ্ধান্ত হবে।

উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ছাত্রীদের হেনস্থার বিষয়টি ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটিতে পাঠাতে হবে। সেই মতো তাদের সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছি। তার পরেই কর্ম সমিতিতে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে যে, ছাত্রছাত্রীদের তা বুঝতে হবে।’’

Advertisement

রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকারও জানান, ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়টি ‘অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি’র দেখার কথা। দুই বছরের জন্য ওই কমিটি থাকে। আগের কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় উপাচার্য দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তারা ৬ এপ্রিল রিপোর্ট দেবেন। তারপরেই কর্ম সমিতি ব্যবস্থা নেবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক দিলীপবাবুকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া তাঁকে ভবিষ্যতে কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করতে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগে জানানো হয়েছে। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। তদন্ত চলছে বলে এখন আর কিছু বলতে চাই না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন