Coronavirus

সফল লকডাউনে দাওয়াই লাঠিই

বুধবার ছিল ফের একটা পূর্ণ লকডাউন। কেমন ছিল সেই লকডাউনের চেহারা, খোঁজ নিল আনন্দবাজার।বাজারের মোড়ের কাছে জনাকয়েক পুলিশকর্মী, সিভিক ভল্যান্টিয়ার পাহারায়। কয়েকজন বাজারের কাছে ঘোরাঘুরি করছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৩:৩৪
Share:

নজরদারি: লকডাউনে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে পথ আটকে দাঁড়ালেন পুলিশকর্মীরা। ময়নাগুড়িতে বুধবার। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

ভবানীগঞ্জ বাজার

Advertisement

সকাল ১১টা। বাজারের মোড়ের কাছে জনাকয়েক পুলিশকর্মী, সিভিক ভল্যান্টিয়ার পাহারায়। কয়েকজন বাজারের কাছে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তা দেখে, লাঠি উঁচিয়ে ছুটলেন পুলিশকর্মীরা। নিমেষেই সব ফাঁকা।

সুনীতি ও দিনহাটা রোড

Advertisement

দু’রাস্তাতেই দিনভর পুলিশ ছুটে বেরিয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ চাকিরমোড়ে দূষণমুক্ত করছিলেন দমকল বিভাগের কর্মীরা। কাছেই একজনের করোনা ধরা পড়েছিল। যা দেখে এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। স্টেশন মোড়ে বাইক ও গাড়ি ধরপাকড় করে পুলিশ।

নিউ কোচবিহার স্টেশন

সকাল থেকেই শুনশান। দু’-একজন রেলকর্মীর দেখা মিলল স্টেশনে।

তুফানগঞ্জ

প্রধান রাস্তায় সে ভাবে ভিড় না থাকলেও দুপুর ১২টার পরে কিছুটা ভিড় বাড়তে থাকে। আচমকা হানা দেয় হানা দেয় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হয় সকলকে। দুধ বাজারকে করোনার কারণে অনেক আগেই এনএনএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ময়দানে সরিয়ে নেওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছিল না। পুলিশ গিয়ে সকলকে সচেতন করে। দুপুরে তুফানগঞ্জ শহরে রুটমার্চ করে পুলিশ। এ দিন ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

দিনহাটা

সাপ্তাহিক লকডাউনকে সফল করে তুলতে রাস্তায় নামল পুলিশ। বুধবার সকাল থেকেই দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ছিল কার্যত শুনশান।

আলিপুরদুয়ার চৌপথী

সকাল থেকেই কড়াকড়ি ছিল চৌপথীতে। সেখান দিয়ে যাওয়া যানবাহন আটকে দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রেই চালকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার সন্তোষজনক কারণ জানাতে পারলেই মেলে ছাড়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে মোটরবাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

আলিপুরদুয়ার জংশন

এ দিন খোলা ছিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিআরএম অফিস। ফলে ১০টা বাজার আগেই দফতরের কর্মীদের সেখানে যেতে দেখা যায়। তবে তার আগে কিংবা পরে অবশ্য ডিআরএম অফিস লাগোয়া এলাকা শুনশানই ছিল। বন্ধ ছিল দোকানপাট, বাজারহাট।

বক্সা-ফিডার রোড

আলিপুরদুয়ার শহরের ‘লাইফ লাইন’ হিসাবে পরিচিত বক্সা-ফিডার রোড। প্রতিদিন ভিড় থাকে এই রাস্তায়। এ দিন অবশ্য রাস্তার খুব বেশি জায়গায় পুলিশের দেখা মিলল না। উল্টে বেশ কয়েকটি অটো ও টোটো চলতে দেখা গেল। হেলমেট ও মাস্ক ছাড়াই মোটরবাইকেও ঘুরতে দেখা গিয়েছে কয়েকজনকে।

কালচিনি

মঙ্গলবার রাতে কালচিনিতে করোনায় একসঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন। ফলে, আলিপুরদুয়ারের ওই ব্লকের বিভিন্ন জয়াগাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যার জেরে বুধবারের লকডাউনে ব্লকের বেশিরভাগ জায়গাতেই ভাল সাড়া মিলেছে। বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি হয়ে কাটালেন।

ফালাকাটা

গত সপ্তাহের দু’দিনের মতো বুধবারেও ফালাকাটাতে লকডাউনের দিন ব্যাপক সাড়া মিলল। বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটালেন। বন্ধ ছিল বাজারহাট, দোকানপাট। রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন