ছন্দে ফিরতে চায় সুকনা

দু’দিকে সারি দিয়ে দোকান। পর্যটকদের নজর টানার জন্য রাস্তার পাশে সকাল থেকে তেলেভাজার দোকানও বসে। জমজমাট সুকনার এই ছবি উধাও, এখন শুধুই ক্যারাম পেটানোর শব্দ আর তাসের আসরের আড্ডা, সঙ্গে প্রশ্ন, কবে আবার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরবে?

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০৩:০৪
Share:

সুনসান: চলছে বন্ধ। থমকে সুকনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

দুপুর হোক বা সন্ধে, তিনমাথা মোড় পার হয়ে রেল স্টেশনের দিকে এগোলেই মোমো-চাউমিন রান্নার সুবাস ভেসে আসে।

Advertisement

দু’দিকে সারি দিয়ে দোকান। পর্যটকদের নজর টানার জন্য রাস্তার পাশে সকাল থেকে তেলেভাজার দোকানও বসে। জমজমাট সুকনার এই ছবি উধাও, এখন শুধুই ক্যারাম পেটানোর শব্দ আর তাসের আসরের আড্ডা, সঙ্গে প্রশ্ন, কবে আবার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরবে?

পাহাড়ে অনির্দিষ্টকাল বন্‌ধ শুরুর দিনে অবশ্য সুকনার জনজীবন স্বাভাবিকই ছিল। গত শুক্র-শনিবারও এলাকার বেশ কিছু দোকান খোলা থাকলেও গত রবিবার দার্জিলিঙে মৃত এক মোর্চা সমর্থকের দেহ নিয়ে মিছিলের পরে থমথমে হয়ে গিয়েছে সুকনা। পুলিশ পাহারায় সুকনার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস খোলা থাকলেও দোকান-বাজার সবই বন্ধ ছিল। অশান্তির আশঙ্কায় সুকনা পর্যন্ত যাতায়াত করা বাস-অটোগুলোও শালবাড়ি মোড় থেকেই ঘুরিয়ে নেওয়া হয়েছে এ দিন।

Advertisement

তবে সুকনা এলাকার মোর্চা নেত্রী শিরিং দাহাল অবশ্য জোরাজুরির কথা মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘কোথাও কোনও জোর করা হয়নি। সাধারণ বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বন্‌ধে সাড়া দিয়েছেন।’’

সোমবার দুপুরে দেখা গেল সুকনার তে-মাথার মোড় লাগোয়া চলছে ক্যারামের আসর। প্রতিটি বোর্ডে হার-জিত নিয়ে বাজি ধরাও চলছে। আরেক পাশে বসেছে তাসের আড্ডা। এক প্রবীণ ব্যক্তির কথায়, ‘‘ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে। এখানে তো সব সময়েই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। ভালই চলত। দোকান বন্ধ রাখতে পার্টির থেকে নির্দেশ দিয়েছে। অশান্তির ভয়ে বন্ধ রেখেছি।’’

নিজেকে মোর্চা সমর্থক বলে দাবি করলেন এক যুবক। সুকনা থেকে রংটং, তিনধরিয়া, গয়াবাড়ি পর্যন্ত পর্যটকদের ‘সাফারি’ করান তিনি। গত রবিবার থেকে তিনিও গাড়ি বের করতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের একদিন বসে থাকলেও আয় বন্ধ। এ ভাবে কতদিন বসে থাকতে পারব জানি না। তেমন হলে শিলিগুড়ি চলে গিয়ে অন্য কাজ খুঁজব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন