ট্রেকারে যাত্রা। নিজস্ব চিত্র।
কখনও ছাদে বেশ কয়েকজন যাত্রী। কখনও যাত্রীরা ঝুলছেন দরজা ধরে। দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবেই পুলিশের চোখের সামনে রায়গঞ্জ থেকে বিভিন্ন রুটের ট্রেকার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে উত্তর দিনাজপুরের ৩৪ ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের একাংশ। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ওই আশঙ্কা করে ব্যবসায়ীদের তরফে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ট্রেকারগুলিতে বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশের নজরদারির অভাবেই দীর্ঘ দিন ধরে রায়গঞ্জ থেকে জেলার বিভিন্ন রুটে বহু ট্রেকার প্রতিদিন অতিরিক্ত যাত্রী উঠিয়ে চলাচল করছে।
পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর জানান, তিনি অভিযোগ শুনেছেন। ট্রেকারগুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা রুখতে জেলার ন’টি থানা এলাকার জাতীয় ও রাজ্য সড়কে সাধারণ ও ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে কোনও ট্রেকার বেআইনিভাবে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে দেখলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
ট্রেকার চালক ও খালাসিদের তরফে আইএনটিটিইউসি-র জেলা কার্যকরী সভাপতি কৌশিক দে-র দাবি, চালক ও খালাসিদের আপত্তি সত্ত্বেও বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের একাংশ প্রতিদিন জোর করে ট্রেকারগুলিতে উঠে পড়েন। সেই কারণে বেশ কিছু ট্রেকার দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে রায়গঞ্জ থেকে বিন্দোল, রসাখোয়া, ভাটোল, ডালখোলা, করণদিঘি, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, টুঙ্গিদিঘি, বোতলবাড়ি, ইটাহার, চূড়ামণ, রাধিকাপুর, ঝিটকিয়া সহ বিভিন্ন রুটের একাধিক ট্রেকার কখনও ছাদে বসিয়ে আবার কখনও ঝুলিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। কখনও ট্রেকারগুলি একই সঙ্গে ছাদে বসিয়ে ও ঝুলিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে নামিয়ে দিচ্ছে। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী বলেন, ট্রেকারগুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা রুখতে অবিলম্বে ট্রাফিক পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে জেলার ৩৪ ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন রাজ্য সড়কে বড়সডর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রায়গঞ্জের কুমারডাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা গুলজার হোসেন ডালখোলার ভুষামণি-১ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। গুলজার বলেন, ‘‘ট্রেকারগুলিতে ১০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকলেও প্রতিদিনই রায়গঞ্জ-ডালখোলা রুটের একাধিক ট্রেকারে ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী তোলা হয়।’’