খুশি: মায়ের সঙ্গে শুভ্রজিৎ। নিজস্ব চিত্র
রেজাল্টের খবর পেতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছিল শিলিগুড়ির প্রধাননগরের বাড়িতে। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে সিবিএসই-র দশম শ্রেণির ফল। সেখানে ৪৮৮ পেয়ে উচ্ছ্বসিত শহরের বাসিন্দা শুভ্রজি়ৎ দে।
শিলিগুড়ির দিল্লি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়া শুভ্রজিতের প্রাপ্ত নম্বর শতাংশের বিচারে ৯৭.৬। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শিলিগুড়িতে প্রথম হয়েছে শুভ্রজিৎ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসপি দাস বলেন, ‘‘সার্বিকভাবে এবারেও আমাদের স্কুল ভালো রেজাল্ট করেছে। স্কুলের শিক্ষকদের পরিশ্রমের ফসল এই রেজাল্ট।’’
দাদার রেজাল্টে উচ্ছ্বসিত বোন সময়িতা। সে জানায়, ‘‘দাদার সাথে প্রচন্ড দুস্টুমি করি, নিজেদের মধ্যে মারামারি পর্যন্ত হয়। কিন্ত মিল হতেও সময় লাগে না। তার পাশাপাশি ও পড়াশোনাও করে।’’ ছেলের যে েত ভাল ফল হবে তা আশা করতে পারেননি মা পিয়ালি দে। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেমেয়ের পড়াশুনার জন্যই এখানে কয়েক বছর ধরে থাকতে হচ্ছে। ওঁর ভালো ফল করে আমাদের সমস্ত পরিশ্রম সার্থক করেছে। ভালো রেজাল্ট করবে জানতাম, কিন্ত এত ভালো রেজাল্ট করবে তা ভাবিনি।’’ শুভ্রজিৎ এবার ইংরেজিতে ৯৪, অংকে ৯৮, বিজ্ঞানে ৯৯, বাংলায় ৯৭, সোশ্যাল সায়েন্সে ১০০ পেয়েছে।
শুভ্রজিৎ মালবাজারের বাসিন্দা হলেও কয়েক বছর থেকে তারা শিলিগুড়ির প্রধাননগরে থাকেন। শুভ্রজিৎ জানায়, ‘‘দিনে ৭ ঘণ্টা পড়তাম। স্কুলের শিক্ষক ছাড়াও বাড়িতে ৪জন গৃহশিক্ষক আছেন, তাঁদের কাছেও পড়েছি।’’
পড়াশোনা ছাড়াও মোবাইলে গেম খেলা ও বিদেশি গান পছন্দের শুভ্রজিতের। তার বাবা শুভঙ্কর দে নির্মাণ ব্যবসার সাথে যুক্ত। ছেলের ফল প্রকাশের খবর শুনেই মালবাজার থেকে রওনা হয়েছেন তিনি।
স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, এ বার মোট ৪০৪ জনের মধ্যে ৫৮ জন ৯০ শতাংশের উপরে নম্বর পেয়েছে। স্কুলেরই অনিশ সরকার ৪৮১, স্নেহা ভট্ট ৪৭৭, বরুণ বনসল ৪৭৭, কেতকী অগ্রবাল ৪৭৬, অদিতি শর্মা ৪৭৬, অন্বেষা কুণ্ডু ৪৭৫, সুদীপ্ত রায় ৪৭৫ পেয়েছে।