জেলা ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে দর্শকাসনের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। সেই ময়দানেই মঙ্গলবার প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই জেলার উন্নয়নে প্রায় হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা ও উদ্বোধন করবেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রায় হাজার পাঁচেক উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সরকারি অনুদান। ফলে ২০ হাজারের দর্শকাসনের মধ্যে পাঁচ হাজার উপভোক্তাই আসবেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সেখানে নানা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদেরও উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন। পঞ্চায়েত স্তরের বাসিন্দাদের অন্তত ১৫ হাজার জনকে সামিল করতে অলিখিত ভাবে আসরে নেমেছেন তৃণমূলের নেতা-জনপ্রতিনিধিরাও।
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, প্রশাসনিক সভায় দলের পক্ষ থেকে লোক আনার দরকারই হচ্ছে না। তাঁর দাবি, নানা গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় উপস্তিত থাকতে নিজেরাই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে খোলামেলা ভাবে প্রশাসনিক সভায় উন্নয়নের খতিয়ান নেন, সমস্যার সমাধান করেন ও কোথাও কাজ কম হলে বকুনি দেন তা দেখা ও শোনার জন্যই গ্রামে উৎসাহ প্রচুর।’’
সরকারি সূত্রের খবর, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মালদহের জেলা ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই কলেজ অডিটোরিয়ামে প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকও করবেন তিনি। ওই দিন মালদহে রাত্রি যাপন করার পরে ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন তিনি। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে জেলায়। ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ।
গত, ১২ ফেব্রুয়ারি পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরে বুথভিত্তিক কর্মীদের নিয়ে জেলায় প্রথম সভা করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই দিনের সভায় প্রায় ৩০ হাজারের বেশি কর্মী হাজির হয়েছিলেন। তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, “কর্মিসভাকে সফল করতে এক মাস আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। প্রতিটি বুথ স্তরে আমাদের কর্মী সভা করতে হয়েছিল। জেলার জুড়ে ফ্লেক্স, ব্যানার টাঙানো হয়েছিল। তার পরেই সাফল্য মিলেছিল।” এবার অবশ্য প্রশাসনিক সবায় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরাই মাথা পিছু ২-৪শো লোক নিয়ে যাচ্ছেন বলে তৃণমূলের নেতাদের দাবি। তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক জোগাড় করতে হয় না। তাঁর কথা শুনতে মানুষ স্বেচ্ছায় সভায় হাজির হবেন।”