আতঙ্কে: চিতা ধরতে খাঁচা পাতা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
চিতা বাঘের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না বাগানের শ্রমিকদের। বাগান কর্তৃপক্ষের পাহারায় চলছে চা পাতা তোলার কাজ। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপাটিয়া নতুন বস গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্থনি এলাকার ঘটনা। বন দফতরের পক্ষ থেকে ছাগলের তোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হলেও চিতা বাঘের দেখা নেই।
ওই এলাকায় প্রায় ১৫ একর এলাকা জুড়ে রয়েছে ছোট চা বাগান। প্রতিদিন কাজ করে কমপক্ষে ২০ জন শ্রমিক। বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদীর পারের বালিতে দেখা মেলে চিতার পায়ের ছাপ। পাশেই তেলি পাড়া, পেদি পাড়া গ্রাম। কয়েকশো পরিবারের বসবাস। সন্ধে হলেই আতঙ্ক গ্রামের রাস্তায় বার হয় না খুদেরা।
মঙ্গলবার করলা নদীর পারের বালিতে চিতার পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে শ্রমিকদের আশঙ্কা, শাবকদের নিয়ে বাগানেই আস্তানা গেড়েছে চিতাটি। বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে বাগান ছেড়ে পালিয়ে যান তাঁরা। খবর পেয়ে বেলাকোবা রেঞ্জের বন দফতর এলাকা পরির্দশন করে চিতার খাঁচা পাতে। চার দিন হয়ে গেলেও চিতার দেখা নেই। তবে বন দফতর সূত্রের খবর, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল থেকে চিতা বাঘ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চা বাগান বেছে নেয়। সঙ্গে শাবক থাকায় খাঁচায় ঢুকছে না। বাগানের শ্রমিক মায়া রায় বলেন, ‘‘আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। চিতা বাঘ বলে কথা। বাগানের বাবুরা পাহারার ব্যবস্থা করেছে। তাই আমরা পাতা তুলতে পারছি। তবে ভয়-ভয়ে পাতা তোলা কম হচ্ছে।’’ চা বাগানের মালিক অশোক কুমার দাস জানান, ‘‘খুবই সমস্যায় পরেছি। চিতার আতঙ্ক কমছে না। এতে আমাদের বাগানের কাজের ক্ষতি হচ্ছে। যত দিন না চিতা ধরা পরছে তত দিন আতঙ্ক পিছু ছাড়বে না চা শ্রমিক ও গ্রামবাসীদের।’’