বার্তা: চা শ্রমিকদের মৌন মিছিল জলপাইগুড়িতে। ছবি: সন্দীপ পাল।
পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর দাবিতে জলপাইগুড়িতে মৌন মিছিল করল চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে গঠিত জয়েন্ট ফোরাম৷ এ দিন জলপাইগুড়ি শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন জায়গাতে থেকে মিছিল বের করে জয়েন্ট ফোরাম৷ জলপাইগুড়ি শহরে সমাজপাড়া মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে মিছিলটি৷
সিটুর জেলা সম্পাদক জিয়াউল আলম বলেন, ‘‘সরকারের ভুল পদক্ষেপের ফলেই পাহাড় আজ অশান্ত৷ আমরা চাই পাহাড়ে শান্তি ফিরুক৷ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হোক৷ পাশাপাশি চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির বিষয়টিরও দ্রুত সমাধান হোক৷ সেটাও এদিন আমরা দাবি তুলেছি৷’’
এ দিকে, আজ বুধবার আলিপুরদুয়ারে রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে মিছিল রয়েছে। তার প্রস্তুতিও তুঙ্গে। তৃণমূলও আজ বুধবার ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে আলিপুরদুয়ার চৌপথী পর্যন্ত মিছিল করবে বলে কথা রয়েছে। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, ‘‘২১ জুলাই উপলক্ষে বুধবার আমাদের ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মিছিল হবে। তাতে বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠবে। বৃহস্পতিবার অরাজনৈতিক মিছিলের কথা শুনেছি।’’
আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থানীয় যুবকরা বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছে। বহু লোক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ওই অরাজনৈতিক পদযাত্রায় অংশ নেবেন বলে। ভালই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
আলিপুরদুয়ারের ব্যবসায়ী ইনু মজুমদারা বলেন, ‘‘আমিও ওই অরাজনৈতিক পদযাত্রায় যাব। সে জন্য জাতীয় পতাকা কিনব।’’ অরাজনৈতিক মিছিলের অন্যতম আয়োজক অনির্বাণ আইচ জানান, ‘‘আমরা কয়েক জন যুবক এই মিছিলের জন্য উদ্যোগী হয়েছিলাম। যে ভাবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছে তাতে মনে হচ্ছে পদযাত্রা সামিল মানুষের সংখ্যা কয়েকশো ছাড়াবে। বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রচারের সাহায্য করছেন। কেউ ফ্লেক্স বানিয়ে দিয়েছেন। কেউ মাইকের প্রচারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অনেকে জাতীয় পতাকাও কিনেছেন।’’
আলিপুরদুয়ারের আইনজীবী সোমশংকর দত্ত বলেন, ‘‘দার্জিলিং হৃদয়ে রয়েছে। বর্তামানে সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। আমার কোনভাবেই বাংলা ভাগ চাই না। বেশ কিছু যুবক অরাজনৈতিক ভাবে পদযাত্রার ডাক দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। আমরা সবাই তাতে সামিল হব।’’