প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল। ডুয়ার্সের মালবাজার ব্লকের ক্রান্তি ফাঁড়ির রাজাডাঙা পঞ্চায়েতের ষোলোঘড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। বাসিন্দারা শনিবার স্কুল বন্ধ করে বিক্ষোভও দেখান।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক রাজাডাঙা তৃণমূলের অঞ্চল সঞ্জীব সিংহ আগে মালবাজার চক্রের সোনালি চা বাগান এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি বাড়ির কাছেই তফশিলি উপজাতি অধ্যুষিত ষোলোঘড়িয়া স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বদলি হয়ে আসেন। সেখানকার ছাত্রীদেরই তিনি অশালীন ইঙ্গিত করে উত্যক্ত করেন বলে অভিযোগ ওঠে চলতি সপ্তাহে।
এক স্কুল পড়ুয়ার অভিভাবক বিমল শৈব্য বলেন, ‘‘ছাত্রীরা বাড়িতে গিয়ে আমাদের কাছে ওঁর সম্পর্কে অভিযোগ করে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, উনি এখানে বদলি হয়ে আসার পর থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা স্কুলের সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে এই শিক্ষকের অপসারণ চাইছি।’’ শনিবার স্কুলে বিক্ষোভ চলছে জেনে আর স্কুলেই আসেননি সঞ্জীববাবু। প্রধান শিক্ষক আলেকজান্ডার এক্কা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
ঘটনার কথা জানতে পেরে তৎপরতা শুরু করে সিপিএম শিবিরও। মালবাজারের জোনাল সিপিএম সম্পাদক মিন্টু রায়ও রাজাডাঙা এলাকার বাসিন্দা। মিন্টু বাবু বলেন, ‘‘এ ধরনের শিক্ষক পুরো শিক্ষা সমাজকেই কলুষিত করবে। তাই দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাইছি।’’ এ দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘এখানে অহেতুক আমার রাজনৈতিক পরিচয় টেনে এনে সমস্যা বাড়ানো হয়েছে। স্কুলে আমি এমন কিছুই করিনি যার জন্য এত বড় অপবাদ দেওয়া হবে। খোলাখুলি তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে।’’
ক্রান্তি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল বিশ্বাসও অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘স্কুলটির সিপিএম অধ্যুষিত এলাকায়। কী ভাবে সঞ্জীবকে বিপাকে ফেলা যাবে তা প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করছিল ওরা। তাই বলে এ রকম ন্যক্কারজনক অভিযোগ আনবে সেটা ভাবিনি। আমরাও পুরো বিষয়ের তদন্ত দাবি করেছি। তার পরেই যা বলার বলব।’’ এ দিকে এই নিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশের কোনও তৎপরতা শুরু হয়নি।