চেষ্টা ফাইল লোপাটের, গৌড়বঙ্গের শিক্ষক সাসপেন্ড

গত, ১৪ মার্চ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ফাইল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দুই ছাত্র। সেই সময় নিরাপত্তা রক্ষীরা আটকে দেন। ওই দিনই রাতে ক্যাম্পাস হাজির হন উপাচার্য স্বাগত সেন এবং অন্য আধিকারিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০৮:৪৬
Share:

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

রাতের অন্ধকারে ফাইল লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন অভিযোগে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষককে সাসপেন্ড করলেন কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলকাতার ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকেই শিক্ষক সৌগত পালকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেন। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেন সৌগত।

Advertisement

গত, ১৪ মার্চ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ফাইল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দুই ছাত্র। সেই সময় নিরাপত্তা রক্ষীরা আটকে দেন। ওই দিনই রাতে ক্যাম্পাস হাজির হন উপাচার্য স্বাগত সেন এবং অন্য আধিকারিকেরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই ছাত্র রসায়ন বিভাগের। আর রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৌগতবাবুর নির্দেশেই ওই ছাত্ররা ফাইলগুলি ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে দাবি করেন কর্তৃপক্ষ। ওই দিনই রসায়ন বিভাগের একটি আলমারি এবং একটি ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়।

একই সঙ্গে ঘটনার কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলকাতার রাজারহাটে ক্যাম্পাস রয়েছে। অধিকাংশ এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ওই ক্যাম্পাসেই হয়। এ দিন ফের এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সেখানেই সৌগতবাবুকে সাসপেন্ড করা হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, সৌগত রুসা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। সম্প্রতি, রুসার টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। তারপরেই ভেঙে দেওয়া হয় ওই কমিটি। আর সৌগতকে যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মধ্যে তাঁর বিভাগ থেকে ফাইল বাইরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি কর্তৃপক্ষের একাংশের। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ফাইল অমিলের ঘটনা নতুন নয়। একাধিক ঘটনার তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে বহু ফাইল অমিল। তাই এ বারের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি, থানাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। স্বাগত সেন বলেন, “ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কমিটি গঠন করে তদন্ত চলছে। তাই তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক সৌগতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারন তিনি ওই পদে থাকলে তদন্তে চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।” সৌগত বলেন, “আমাকে মিথ্যে ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনাটি উচ্চ শিক্ষা দফতরে জানানো হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন