বাধা পুরো দূর হলে তবেই স্কুলে, ভয়ে দাড়িভিট শিক্ষকরা

স্কুলের এক শিক্ষক সুদীপ্তকুমার সিংহ বলেন, ‘‘কী করে স্কুল যাব? শুনেছি, স্কুলের সামনে ওঁরা বসে আছেন। জোর করে ঢোকা সম্ভব নয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০৫
Share:

ইসলামপুরে গুলিতে মৃত এক ছাত্র। —ফাইল ছবি

স্কুলে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ার আশঙ্কা পুরোপুরি দূর হলে তবেই তাঁরা সেখানে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন দাড়িভিট হাইস্কুলের বেশ কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়ার পরেও তাঁরা নিরূপায় হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন, দাবি তাঁদের। বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের সামনে ফের দেখা গিয়েছে, নিহতের পরিবারের লোকজনের অনেকে বসে ছিলেন। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না হলে তাঁরা স্কুল খুলতে দেবেন না বলে ফের জানিয়েছেন। ফলে, স্কুলে ঢুকতে গেলে গোলমাল হতে পারে বলে শঙ্কিত অনেকেই। স্কুলের এক শিক্ষিকা স্মৃতিকণা মণ্ডল বলেন, ‘‘সে দিন স্কুল থেকে বার হতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। আজকে স্কুলে যাইনি। দেখি কী করি!’’

Advertisement

একই রকম আশঙ্কায় রয়েছেন অন্যরাও। যেমন, স্কুলের এক শিক্ষক সুদীপ্তকুমার সিংহ বলেন, ‘‘কী করে স্কুল যাব? শুনেছি, স্কুলের সামনে ওঁরা বসে আছেন। জোর করে ঢোকা সম্ভব নয়।’’ শিক্ষক আশারুল হক জানান, তাঁরা রোজই স্কুলে যাবেন বলে তৈরি হয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু, গিয়ে যদি ফের হাঙ্গামার মধ্যে পড়ি, তা হলে কে সামলাবে?’’ স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য তপন মজুমদার জানান, শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনিও শুনেছেন। কিন্তু, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন করে বৈঠকের কথা বলা হয়নি বলে জট খোলার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনিও। স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদা বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ। তাই স্কুলের বিষয়ে কোনও কিছুই বলতে পারব না।’’

এই অবস্থায়, স্কুলের ১৯০০ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, গত ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট-কাণ্ডের পর থেকে খোলেনি স্কুল। বরং, স্কুলের সামনে রোজই রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের মায়েরা বসে থাকছেন সিবিআই তদন্তের দাবিতে। সে জন্য স্কুলে গত সপ্তাহে বৈঠক ডেকেও করতে পারেনি পরিচালন সমিতি।

Advertisement

ইতিমধ্যে রবিবার ব্লক সদরে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে হাজির ছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সোমবার জেলার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শকের উপস্থিতিতেই ইসলামপুরে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা পর্যন্ত হয়নি। স্কুলের আর এক শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুল খোলানোর বিষয় নিয়ে আমরা নিজেরা রোজই আলোচনা করছি। ফের আলোচনায় বসব। দেখা যাক কিছু করা যায় কি না!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন