West Bengal Child Rights Commission

আদিবাসী ছাত্রী খুনের তিন দিন পরেও ‘অন্ধকারে’ পুলিশ, মালদহে এল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন

মালদহের পৃথক দু’টি এলাকা থেকে দু’টি দেহ উদ্ধার হয়। পরিত্যক্ত ইটভাঁটা থেকে উদ্ধার হয় এক আদিবাসী নাবালিকার দেহ। অন্য দিকে, এক তরুণীর দেহ মেলে জেলার অপর প্রান্তে একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

পুরাতন মালদহ শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১২
Share:

মালদহে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। —নিজস্ব চিত্র।

উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিকাণ্ডের মধ্যে মালদহে আদিবাসী ছাত্রীর খুনের ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। তার মধ্যেই সোমবার মৃত ছাত্রীর বাড়িতে গেল রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। যদিও ঘটনার তিন দিনের পরেও ওই নবম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর রহস্যভেদ করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

Advertisement

সোমবার দুপুরে পুরাতন মালদহে মৃত আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের পরামর্শদাতা সুদেষ্ণা রায় এবং আইনি পরামর্শদাতা সিদ্দিকা পরভিন। তুলিকা বলেন, ‘‘খুনের ‘মোটিভ’ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও পাওয়া যায়নি। পুলিশের হাতে কোনও ‘ক্লু’ আসেনি। তবে সত্য উদ্‌ঘাটন এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।’’ তিনি জানান, ইতিমধ্যে মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। কথা বলেছেন মৃত ছাত্রী সহপাঠীদের সঙ্গেও। তবে খুনের নেপথ্যে কারা রয়েছেন বলে তাঁরা সন্দেহ করছেন, সে বিষয়ে কোনও কিছুই বলতে পারেননি মৃতের পরিবারের সদস্য থেকে সহপাঠীরা।

অন্য দিকে, এ নিয়ে মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘ঘটনার তিন দিন পরেও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পায়নি পুলিশ। ফলে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ তদন্তে ঢিলেমি করছে। শাসকদলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ। জেলার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এক মাসে জেলাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা তারই প্রমাণ।’’

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে মালদহের পৃথক দু’টি এলাকা থেকে দু’টি দেহ উদ্ধার হয়। পরিত্যক্ত ইটভাঁটা থেকে উদ্ধার হয় এক আদিবাসী নাবালিকার দেহ। অন্য দিকে, এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয় জেলার অপর প্রান্তে একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে। দুই মৃতার পরিবারই দাবি করেছে, তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানান, পুলিশ যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিকে। সেই সঙ্গে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। চার দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে ডিজির কাছ থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন