north bengal university

শুরুতেই সমস্যার সামনে নতুন অস্থায়ী উপাচার্য

রাজ্যের বরাদ্দে ঘাটতি থেকে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে বলে একাংশের দাবি। তাঁরা জানান, মাসের প্রথম দিন বেতন দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মী-আধিকারিকদের।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ০৬:৫০
Share:

অস্থায়ী উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

দু’সপ্তাহ হতে চলল অস্থায়ী উপাচার্য পদে বহাল হয়েছেন সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়। এরই মধ্যে অর্থিক সঙ্কট-সহ নানা সমস্যা সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিক্সড ডিপোজ়িট’ ভেঙে সময় মতো বেতনের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। রাজ্যের তরফে অর্থ সময় মতো না আসায় এই সিদ্ধান্ত বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের দাবি। তবে ওই খাতে রাজ্য সরকারের বরাদ্দ কয়েক দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে এলেই তা মিটে যাবে বলেই কর্তৃপক্ষের দাবি।

Advertisement

তবে রাজ্যের বরাদ্দে ঘাটতি থেকে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে বলে একাংশের দাবি। তাঁরা জানান, মাসের প্রথম দিন বেতন দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মী-আধিকারিকদের। ওই খাতে রাজ্যের অর্থ তার সাত দশ দিন আগে চলে এলে সমস্যা নেই। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খাত থেকে দেওয়া হয়। বেতনের কয়েক দিন পর রাজ্যের টাকা চলে এলে তা মিলিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি এ ভাবে চলতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের থেকে টাকা দেওয়া হলেও তাতে ঘাটতি থাকছে। সাত কোটি দরকার হলে পুরোটা দেওয়া হচ্ছে না। তাতে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো ঘাটতি হয়ে রয়েছে। এই ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে বলে দাবি। উপাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘শিক্ষক, কর্মী আধিকারিকদের বেতন আমরা মাসের প্রথম দিন দিই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে তখন খরচ করতে হয়। ওই খাতে রাজ্যের যে টাকা দেওয়ার কথা তা চলে এলেই হিসাব মিলিয়ে নেওয়া হয়।’’

আজ, বৃহস্পতিবার বেতনও সে ভাবেই হবে। অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগে। ওই টাকা সরকারের তরফে মেলে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ হয়। তা ছাড়া আগামী ২ জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাল কোয়ালিটি অ্যাসিওর‌্যান্স সেলের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। তার নতুন কমিটি গঠনের কথা।

Advertisement

এর আগে অস্থায়ী উপাচার্যের মেয়াদ ফুরনোর পর দেড়মাসেরও বেশি ওই পদ ফাঁকা থাকায় নানা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কেন না ফিনান্স অফিসার এবং রেজিস্ট্রার পদ ফাঁকা ছিল। ফিনান্স অফিসার না থাকায় বেতনের জন্য চেকে সই করা সম্ভব না হওয়ায় বেতন নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই গত ২০ মে উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রের মেয়াদ ফুরনো নিয়ে উদ্বেগ ছিল। কারণ, একই দিনে অস্থায়ী ফিনান্স অফিসার এবং রেজিস্ট্রারের মেয়াদও শেষ হয়েছে। তবে ১৯ মে কর্মসমিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিনান্স অফিসার এবং রেজিস্ট্রারের মেয়াদ ৪ মাস বাড়ানো হয়। তাতে দুর্ভাবনা কিছুটা কমে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। তাতে সব দিক ঠিক করে চালানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কাছে।

অস্থায়ী চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষকদের বেতন ক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়েছিল। আর্থিক সঙ্কটের কারণে এখন আপাতত তা কার্যকর হয়নি। উপাচার্য জানান, নীতিগত ভাবে তা চূড়ান্ত হয়েছে। আর্থিক সমস্যার কারণে এখন সেটা ধরে রাখা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন