মানহানি নিয়ে মামলার হুমকি

রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিবাদ প্রকাশ্যে পৌঁছে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিবাদ প্রকাশ্যে পৌঁছে গেল।

Advertisement

রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মাসুদ মহম্মদ নাসিম এহেসান দাবি করলেন, ‘‘সাংসদ আমাদের ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে টাকা জমা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করায় ব্যাঙ্কের সুনাম নষ্ট হয়েছে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘ সেলিমের পায়ের তলে রাজনৈতিক মাটি নেই। তাই প্রচারের আলোয় আসতে কিছু না জেনে তিনি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। সেলিমবাবুর মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’

ব্যাঙ্কের বোর্ড অফ ডিরেক্টর সোমনাথ দাসের দাবি, তাঁদের ব্যাঙ্ক কোনও রাজনৈতিক দল নয়। আয়কর দফতর ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখে মৌখিক ক্লিনচিট দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই লিখিত ক্লিনচিট পেয়ে যাব। ব্যাঙ্কের তরফে সেলিমবাবুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পরে রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ গত ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর বেআইনি ভাবে ওই ব্যাঙ্কের দুই দিনাজপুরের ১৬টি শাখায় ৪৭ কোটি টাকা জমা হয়েছে— দাবি করে ওই ঘটনার তদন্ত চেয়ে গত ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের চিঠি পাঠান সেলিম। সেলিম অভিযোগ করেন, ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি তৃণমূলের দখলে থাকায় শাসক দলের নেতারা ওই ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করার চেষ্টা করছেন। মাসুদের পাল্টা দাবি, ‘‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনেই গত ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর ব্যাঙ্কের ১৬ হাজার ৬৪০টি অ্যাকাউন্টে ৫৮ কোটি ২১ লক্ষ টাকা জমা পড়ে।’’ শুক্র ও শনিবার আয়কর দফতরের কর্তারা ওই ব্যাঙ্কের প্রধান শাখায় হানা দিয়ে ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কের সমস্ত শাখায় কার বা কাদের ব্যাক্তিগত বা সমবায় অ্যাকাউন্টে আড়াইলক্ষ টাকা জমা পড়েছে, সেই তালিকা সংগ্রহ করেন।

সেলিম বলেন, ‘‘যাঁদের মান নিয়েই এখন টানাটানি শুরু হয়েছে, তাঁরা মানহানির মামলার হুমকি দিয়ে আমার কন্ঠরোধ করতে পারবেন না! আমি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের টাকা জমা নেওয়ার ব্যাপারে তদন্ত চেয়েছিলাম। তাতেই, ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনির-মতো পরিস্থিতি হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন